দেশের জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগে সম্মিলিতভাবে জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নসহ প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একসঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত গান তারা।
বিজ্ঞাপন
এসময় তারা ‘তুমি কে আমি কে, বাংলাদেশি বাংলাদেশি’; ‘আমার সোনার বাংলায়, দেশদ্রোহীদের ঠাঁই নাই’; ‘আমার সোনার বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই’; ‘আমার সোনার বাংলায়, গোলাম আযমের ঠাঁই নাই’; ‘দিল্লি না ঢাকা ঢাকা ঢাকা, পিন্ডি না ঢাকা ঢাকা ঢাকা’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন শাওন, বিএম কাওসার, আবিদুল ইসলাম খান, নূর, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম ভূঁইয়া ইমন প্রমুখ।
বাগছাসের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, মুখপাত্র আশরেফা খাতুন, মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদাস্সির চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছমিন মিতু, ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক লিমন মাহমুদ হাসান প্রমুখ। বামদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক মেঘমল্লার বসু, ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল, ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার আরমানুল হক উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রদলের ঢাবি শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিএম কাওসার বলেন, আমরা বাংলাদেশ এবং একাত্তরকে ধারণ করি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি দেশ, একটি জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সঙ্গীত পেয়েছি। যারা জাতীয় সঙ্গীতকে অসম্মান করে; এই জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মাধ্যমে তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছি। আমরা বাংলাদেশ পক্ষে আছি এবং থাকব।
বিজ্ঞাপন
বাগছাসের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, একাত্তর ও চব্বিশকে ধারণ করেই আমরা এদেশে রাজনীতি করতে চাই। আগামির বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে একাত্তর ও চব্বিশকে ধারণ করেই রাজনীতি করতে হবে। আমাদের মধ্যে নানা ইস্যুতে দ্বিমত থাকলেও জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ।
এর আগে গত ১০ মে শাহবাগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে সম্মিলিত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্র সংগঠনগুলো।
এসএইচ/এফএ
