জবি সোনারগাঁও ছাত্র পরিষদের পুনর্মিলনী ও নবীনবরণ

বন্ধন, স্মৃতি ও সম্প্রীতির অনন্য এক মিলনমেলা হয়ে উঠেছিল জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস’ অ্যাসোসিয়েশন অব সোনারগাঁওয়ের (জবিসাস) আয়োজিত নবীনবরণ ও পুনর্মিলনী। শনিবার (১০ মে) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে অনুষ্ঠিত এই আয়োজন ঘিরে দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশে মিলিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া সোনারগাঁওয়ের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে তাদের হাতে কৃতী শিক্ষার্থীর সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াদ হোসেন।

পুনর্মিলনী পর্বে উপস্থিত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের হাতে স্মারক তুলে দিয়ে তাদের সম্মান জানানো হয়। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত অতিথিদেরও সম্মাননা দেওয়া হয়, যারা একসময় জবিসাসের নেতৃত্বে ছিলেন বা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাসপোর্ট অধিদফতরের উপ-পরিচালক ও জবিসাসের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক গাজী মাহামুদুল হাসান। তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজের মেধা ও সৃজনশীলতা দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে। শিক্ষার আলোকে নিজের জীবন গড়ার পাশাপাশি দেশকেও আলোকিত করতে হবে।’

প্রাক্তন ছাত্রনেতা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জবি শাখার সাবেক সহ-সভাপতি এ ডি এম বাকির জুয়েল শিক্ষার্থীদের যেকোনো প্রয়োজনেই পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘এই সংগঠন কেবল একটি সংগঠন নয়— এটি একটি পরিবার, যেখানে সহযোগিতার হাত সবসময় প্রসারিত থাকে।’

জবিসাসের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মো. মুহসিন সরকার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের জন্য কল্যাণমূলক কাজ করা এবং সবাইকে একত্রিত করে এগিয়ে নেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।’ তিনি ভবিষ্যতেও সংগঠনের কার্যক্রমে সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করেন।