দেশের ১৫টি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নাম থেকে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা ও তাদের স্বজনের নাম বাদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নামও পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনায় নাম পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ১৩ এপ্রিল।
বিজ্ঞাপন
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকের সাইনবোর্ড, অফিসিয়াল কাগজপত্র ও ওয়েবসাইটে নতুন নাম প্রতিস্থাপন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষ ও আঞ্চলিক পরিচালকদের। আদেশে বলা হয়, প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দ্রুত এই পরিবর্তন কার্যকর করতে হবে এবং বিষয়টি ‘অতীব জরুরি’ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
নাম পরিবর্তিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির ‘শেখ কামাল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’, যা এখন থেকে পরিচিত হবে ‘বালিয়াকান্দি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ হিসেবে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’-এর নতুন নাম ‘টুঙ্গিপাড়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’। বরগুনার আমতলির ‘শেখ হাসিনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’-এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘আমতলী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’। পাবনার সাঁথিয়ার ‘শহীদ শেখ রাসেল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ এখন ‘সাঁথিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ নামেই পরিচিত হবে।
এ ছাড়া ফরিদপুর, শরীয়তপুর, নওগাঁ, যশোর, জামালপুর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত আরও একাধিক টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঠাকুরগাঁওয়ের ‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’-এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘ঠাকুরগাঁও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’। এসব প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে বাদ পড়েছে শেখ হাসিনার প্রয়াত স্বামী পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক, ওয়াজেদ চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম খোকা, আবু শারাফ সাদেকসহ আরও কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম।
এএসএল/এএস

