কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সঙ্গে সকল ট্রেড এমপিওভুক্তিসহ ১৫ দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। আগামি বৃহস্পতিবারের মধ্যে এমপিওভুক্তি করার দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন বেতন না পাওয়া শিক্ষকরা। রোববার (৪ মে) দুপুরে কারিগরি অধিদফতরের ১৫ দফা দাবি জানান তারা।
তাদের ১৫ দফা দাবিগুলো হলো—
বিজ্ঞাপন
১. গত ২০১৯ ও ২০২২ সালে এমপিওভুক্ত কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের জমা দেওয়া আবেদনকারী সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন আগামী বৃহস্পতিবারের (৮ মে) মধ্যেই এমপিওভুক্ত করতে হবে।
২. কারিগরি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হলে সকল ট্রেড এমপিওভুক্তির আওতায় নিতে হবে।
৩. গত ৫ আগস্টের পূর্বের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিদফতর থেকে বদলি করতে হবে।
৪. কৃষি ডিপ্লোমার অধ্যক্ষসহ গুরুত্বপূর্ণ পদের মীমাংসা করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
৫. কোনো জনবল কাঠামো কার্যকর করতে হলে শিক্ষা মন্ত্রণায়লয়, অর্থমন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগে। কিন্তু কারিগরির ক্ষেত্রে শুধু কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অথবা শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিজেরাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন; এই পদ্ধতির পরিবর্তন।
৬. কারিগরি সচিবের নিকটজন বলে তৃতীয় গ্রেডের পরিচালক (ভোকেশনাল) পদে পলিটেকনিকের পঞ্চম গ্রেডের শিক্ষককে বসানো যাবে না।
৭. আগে মনে হতো দিল্লি হতে শিশির বাবু, বিমল বাবু কারিগরি অধিদফতর চালাতেন; এখন তাদের দোসররা চালাচ্ছে।
৮. গত ৫০ বছরে কোনো বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হয়নি।
৯. এমপিও সমস্যার সমাধান না করতে পারলে মাউশি-কে এই দায়িত্ব দেওয়া হোক।
১০. জেনারেল স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা ভবন তৈরির বিশেষ প্রকল্পের মতো কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের বরাদ্দ দিতে হবে।
১১. কারিগরি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
১২. অধিকাংশ কারিগরি শিক্ষা কারিকুলামের মূল বই তৈরি করা।
১৩. কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নবায়ন ফি কমানো।
১৪. নিয়োগ দিয়েছেন সরকারের প্রতিনিধি, বেতন দিবে সরকার।
১৫. কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং শিক্ষকদের সঙ্গে সদাচরণ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়ার একটি কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে কিন্তু ট্রেড এমপিওভুক্ত হয়নি। আমরা এমন চাই না। আমাদের যাদের ট্রেড এমপিওভুক্তির আবেদন করা রয়েছে আগামি ৮ মে’র মধ্যে বেতন-ভাতা চাই। একই প্রতিষ্ঠানের অন্য শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছে; কিন্তু আমরা পাচ্ছি না। আমরা শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে কেনো বঞ্চিত হব। তাই বেতন না পাওয়া সকল শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওভুক্তি চাই।
এএসএল/এফএ

