শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

রক্তবর্ণে সেজেছে জবি ক্যাম্পাস

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২২, ০৫:১৩ পিএম

শেয়ার করুন:

রক্তবর্ণে সেজেছে জবি ক্যাম্পাস

বসন্তের শেষে প্রকৃতিতে বইছে গ্রীষ্মের উষ্ণ হাওয়া। পলাশ, শিমুলসহ রং-বেরঙের নানা ফুলে সেজেছে প্রকৃতি। তাইতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসও সেজেছে নতুন রূপে। ক্যাম্পাসজুড়ে ডানা মেলেছে রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া। এ যেন কৃষ্ণচূড়ার ক্যাম্পাস।

প্রতিবছর গ্রীষ্মের শুরুতেই পুরো ক্যাম্পাসে মুগ্ধতা ছড়াতে শুরু করে এই কৃষ্ণচূড়া ফুল। স্ব-মহিমায় উজ্জ্বল হয়ে মেলে ধরে নিজেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফটক, সমাজকর্ম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সামনে, ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে, ক্যাফেটেরিয়ার সামনে, মুক্তমঞ্চের আশপাশে, সাইন্স ফ্যাকাল্টির সামনেসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় কৃষ্ণচূড়া গাছের রাঙা ফুল প্রকৃতির সব রঙকে যেন ম্লান করে দেয়ে।


বিজ্ঞাপন


JNU News

সকালে গাছের নিচে ঝরে পড়া রক্তলাল কৃষ্ণচূড়ার পাপড়ি যেন পুষ্প শয্যা। এই গাছের নিচেই শিক্ষার্থীরা আড্ডা আর খুনসুটিতে মেতে উঠছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী, পথচারী কিংবা ক্যাম্পাসের সম্মুখের মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী যে কারও হৃদয় কাড়ে নয়ন জুড়ানো এসব কৃষ্ণচূড়া ফুল। মনের অজান্তেই মুখে অস্ফুট স্বরে বের হয়ে আসে- বাহ! পুরো ক্যাম্পাসেই এখন শোভা পাচ্ছে রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া।

কৃষ্ণচূড়ার ইংরেজি নাম ফ্লেম ট্রি। এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো ডেলোনিক্স রেজিয়া। এটি ফ্যাবেসি পরিবারের অন্তর্গত একটি বৃক্ষ, যা গুলমোহর নামেও পরিচিত। আমাদের দেশে লাল ও হলুদ রঙের ফুল দেখা গেলেও সাদা রঙের কৃষ্ণচূড়ার কদাচিৎ দেখা যায়। কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদ উচ্চতায় ১২-১৪ মিটার হলেও শাখা-পল্লবে এটি বেশি অঞ্চলব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ। কৃষ্ণচূড়ার জন্মানোর জন্য উষ্ণ বা প্রায় উষ্ণ আবহাওয়ার প্রয়োজন হয়।

JNU News


বিজ্ঞাপন


জবির ফার্মেসি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসনাইন জান্নাত ইশা বলেন, ‘ক্যাম্পাসের লাল কৃষ্ণচূড়া আমাদের ক্যাম্পাসের পরিবেশটাকে লাল রঙয়ে রাঙিয়েছে। মনে হচ্ছে যেন লাল টুকটুকে বউ, এই লাল এর মাঝে ইচ্ছে করে হারিয়ে যেতে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর শিক্ষার্থী মোরশেদ ইসলাম বলেন, ‘ঈদের ছুটি কাটিয়ে এসে কৃষ্ণচূড়ায় পরিপূর্ণ লাল টুকটুকে ক্যাম্পাস দেখে মনে হচ্ছে যেন ঈদের শেষে আবার কোথাও ঘুরতে এসেছি। এমন সুন্দর দৃশ্য দেখে নিজের সবুজে ঘেরা গ্রাম ছেড়ে আসার জন্য যে মন খারাপ লাগতেছিলো তাও যেন ভুলে গেছি।’

সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের রুবাইয়া রায়হান বলেন, ‘পছন্দের ফুলগুলোর তালিকায় প্রথমেই স্থান পায় কৃষ্ণচূড়া। এর রক্তবর্ণ রূপ-সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে বারবার। ফুলটা হাতে নিলে মনে হয়, এক টুকরা সূর্যকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, যতবার দেখি ততবারই মুগ্ধ হয়ে যাই।’

গ্রীষ্মের খরতাপের মাঝেই প্রকৃতি যেন বর্ণিল রঙে সেজেছে। এই সৌন্দর্যের বড় অংশ নিজের দখলে রেখেছে জবির ক্যাম্পাসজুড়ে ছড়িয়ে থাকা লাল কৃষ্ণচূড়া।

/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর