ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে তার ছাত্র, সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ইতোমধ্যে কয়েক দফা জানাজা শেষে তার দাফনও সম্পন্ন হয়েছে। তবে দীর্ঘদিনের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তার জানাজা না হওয়ার বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা এখনো চলছে। এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। সেখানে জানানো হয়, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের জানাজা ও দাফনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তিতে আগামীকাল রোববার (১৬ মার্চ) সাবেক উপাচার্যের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় একদিনের ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানানো হয়েছে।
আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুর পর তার জানাজাসংক্রান্ত সমালোচনার প্রসঙ্গ নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একজন প্রাক্তন উপাচার্য ও অধ্যাপকের মৃত্যুতে পরিবারের সম্মতিক্রমে জানাজার সময় ও স্থান সম্পর্কে সকলকে অবহিত করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে মাইকিং, শোকবার্তা প্রকাশ, কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ মোনাজাতসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত সকল প্রথা অনুসরণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবারের সিদ্ধান্তক্রমেই অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের জানাজা ও দাফনের স্থান নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবারের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানায়।
বিজ্ঞাপন
ঢাবি কর্তৃপক্ষ জানায়, অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক অসুস্থ হয়ে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরোসায়েন্স ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার পরদিন ৭ মার্চ শুক্রবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান হাসপাতালে তাকে দেখতে যান এবং তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হয়।
মৃত্যুর পর উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং প্রশাসনের অপরাপর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ মরহুমের জানাজা ও দাফন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন এবং দাফন প্রক্রিয়ায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন বলে জানায় ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
বিইউ/জেবি