ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সেভ দ্যা ভিলেজের আয়োজনে এবং ডা. আবুল কাশেম শিক্ষা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে বার্ষিক তুলনামূলক ক্রম-উন্নতিভিত্তিক ফলপ্রকাশ পদ্ধতি ‘পিআরএম’ মেথড বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সেমিনার কক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। এসময় মাগুরা জেলার বেশ কয়েকটি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
এসময় উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক পার্থ সারথি লস্কর, অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরিফ, সহকারী অধ্যাপক মিথিলা তানজিল, সেভ দ্যা ভিলেজের সভাপতি মাসুদুর রহমান এবং ডা. আবুল কাশেম শিক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান গবেষক বিশ্বাস মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামানসহ মাগুরা জেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করার পর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এরপর বার্ষিক পরীক্ষার পর সে পূর্ণ এক বছরের ফলাফল প্রাপ্ত হয়। তবে বিদ্যমান ফলাফল প্রকাশের পর একজন শিক্ষার্থীর মধ্যে ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ যে বা যারা ভালো ছাত্র তারা সবসময়ই ভালো হিসেবে শিক্ষকসহ সমাজের সকলের নিকট সম্মানিত হন। অন্যদিকে ফলাফল প্রকাশের পর পিছনের সারির শিক্ষার্থীর মধ্যে তীব্র হতাশা সৃষ্টি হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ফলাফলের বৈচিত্র্য শুধুমাত্র মেধাক্রম অনুসারে প্রথমদিকের শিক্ষার্থীদের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে। যাকে ট্রাডিশনাল রেজাল্ট মেথড হিসেবে অবহিত করা হয়।
অন্যদিকে, প্রগেসিভ রেজাল্ট মেথড (পিআরএম) হলো, একজন শিক্ষার্থী বার্ষিক ফলাফলের পর যতদূর আগাবে সেই ক্রমানুসারে তার বিচার করার পদ্ধতি। অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থী ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ৭০ মার্ক পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর অষ্টম শ্রেণিতে ৮০ মার্ক পেলে তার প্রগেসিভ রেজাল্ট হলো ১০ শতাংশ। অন্যদিকে আরেকজন শিক্ষার্থী ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ৭৫ মার্ক পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর অষ্টম শ্রেণিতে ৮০ মার্ক পেলে তার প্রগেসিভ রেজাল্ট ৫ শতাংশ। এক্ষেত্রে প্রথম শিক্ষার্থী যার প্রগেসিভ রেজাল্ট ১০ শতাংশ সেই এই মেথড অনুসারে প্রথম স্থান অধিকার করবে।
প্রতিনিধি/এফএ