প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভালো ও সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকরাও পিছিয়ে পরা মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন; তবে নোবেল তো দূরের বিষয় তারা কাজের স্বীকৃতিও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভুক্তি ও জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আন্দোলনের সমন্বয়করা বলেন, সারাদেশ থেকে প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। দুইদিন ধরে আমরা এখানে অবস্থান করছি অথচ সরকারের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি আমাদের খোঁজ-খবর নেননি। দেশের ১০ শতাংশ জনগোষ্ঠী প্রতিবন্ধী। তাদের কি অপরাধ, তাদের সেবা করাটাই কি আমাদের অপরাধ? যদি তাই হয় তাহলে সরকার সেটা বলে দিক। আমরা ক্ষমা চেয়ে ঘরে ফিরে যাব।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, আপনি শান্তির জন্য নোবেল পেয়েছেন। আমরাও শান্তির জন্য কাজ করছি। আমরা হয়তো নোবেল পাইনি। কিন্তু আমরা যখন কাজ শুরু করেছি তখন সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে বলা হয়েছে আমরা ভালো কাজ করছি। কিন্তু আমরা লাঞ্ছিত-বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে সদয় অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনি আজকের মধ্যে ১৭৭২টি প্রতিবন্ধী স্কুলকে স্বীকৃতি প্রদান করুন। ভালো স্কুলসহ প্রতিটি স্কুলকে এমপিওভুক্তি ও জাতীয়করণ করুণ। রমজানের আগে আমাদের স্বীকৃতি দিন।
এসময় সংশ্লিষ্টরা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মতো তাদের নিয়ে খেলা করছেন বলেও অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। নতুন বাংলাদেশে বৈষম্যের স্থান নেই উল্লেখ করে রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এমএইচ/এফএ

