সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা আগামী ১২ জুন থেকে শুরু হবে।
মঙ্গলবার (৭ জুন) রাত ১০টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
বিজ্ঞাপন
মৌখিক পরীক্ষায় যাচাই হবে হাতের লেখা
সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীদের হাতের লেখা পরীক্ষা করা হবে। সেই সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার খাতায় হাতের লেখার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষায় লেখার মিল না পেলে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার (২ জুন) রাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ, ২০২০ এর লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার সময় প্রার্থীদের ওএমআর শিটে ইংরেজি ও বাংলায় দুটি অনুচ্ছেদ লিখতে হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষার সময় তাদের হাতের লেখা যাচাই করা হবে। যাচাই করার সময় টেক্সটবক্সে ইংরেজি ও বাংলায় লেখার সঙ্গে মিল পাওয়া না গেলে প্রার্থিতা বাতিলসহ সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকট নিরসনে সহকারী শিক্ষক পদে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে তিন পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১ জেলা থেকে পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন মোট ১৩ লাখ নয় হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী। সে হিসেবে একটি পদের বিপরীতে প্রতিযোগিতা করতে হবে ২৯ জন প্রার্থীকে। তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই নিয়োগ পরীক্ষা।
প্রথম ধাপে দেশের ২২টি জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ২২ এপ্রিল। যার ফল প্রকাশিত হয়েছে গত ১২ মে। পরীক্ষার ২০ দিনের মাথায় প্রকাশিত ওই ফলাফলে ৪০ হাজার ৮৬২ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
এদিকে, গত ২০ মে ২৯টি জেলায় দ্বিতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট চার লাখ ৬৬ হাজার ১০০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। চলতি সপ্তাহেই এই পরীক্ষার ফল ঘোষণার কথা রয়েছে।
এছাড়া সবশেষ গত ৩ জুন দেশের ৩২ জেলায় তৃতীয় ধাপে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চার লাখ ৪৬ হাজার ৫৯৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ নেন।
এসএএস/আইএইচ
