ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) সর্বজনের প্রতিষ্ঠান করতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাবির বাণিজ্য অনুষদ প্রাঙ্গণে বণিক বার্তা এবং বাণিজ্য অনুষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অষ্টম নন-ফিকশন বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এটি যেকোনো বিবেচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন। এটা মূলত একটা সেলিব্রেশন। জ্ঞানের সেলিব্রেশন বা উদযাপন। এটি সমাজের জন্য অনেক দরকার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব কাজ করার লোক কমে যাচ্ছে, ঠিক এ কারণেই এই আয়োজনের পিছনে যারা আছে তাদেরকে বিশেষ ধন্যবাদ।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, এসব আয়োজন সমাজের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযোগ স্থাপন করেছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সর্বজনের প্রতিষ্ঠান করতে চাই। এসব প্রোগ্রাম আমাদের কাজ সহজ করে। আমরা অনেক সংকটের মধ্যে দিন কাটাই। যেকোনো বিবেচনায় এসব আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে ভূমিকা রাখে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে এর মাঝেও বুক চিতিয়ে বলতে চাই জ্ঞান ও প্রকাশনা জগত সহিংস ও উগ্র ও দলান্ধ রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত থাকবে । এসব নোংরা রাজনীতি থেকে যে কয়টা জিনিস মুক্ত থাকতেই হবে। তার মধ্যে এটা একটা। যারা এই কাজটি সম্পন্ন করেছে তাদেরকে আবারও ধন্যবাদ।
বনিক বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যাপক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ বলেন, এবারের জুলাই বিপ্লবের অন্যতম স্পিরিট হলো বাংলাদেশকে জ্ঞান ভিত্তিকতার উপর দাঁড় করিয়ে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়া বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে জ্ঞানের উন্নতি সাধনের দিকে নিয়ে যাওয়া। তারই অংশ এই নন ফিকশন বইমেলা। এবং শুধু ঢাবি নয় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এসব আয়োজন হওয়া উচিত।
ড. মাহমুদ ওসমান ইনাম, নন-ফিকশন বইমেলার উদ্দেশ্য হলো গবেষণা ভিত্তিক লেখার পাঠক ও গবেষক বৃদ্ধি করা। বইমেলায় আমরা দেখি ফিকশন বেইসড বই বেশি বিক্রি হয়। অর্থনীতি ও গবেষণা লব্ধ বিষয় তুলে ধরার জন্যই এই মেলা। বর্তমানে নন ফিকশন বইয়ের বিক্রি আরও বাড়ছে। আজকে ৩৯টি প্রকাশনা এখানে অংশ নিয়েছে। ব্যবসা অনুষদের এই ছোট্ট পরিসরে ৩৯টি স্টল একটি বিরাট সংখ্যা। আমরা এর সাথে সম্পৃক্ত থেকে গর্বিত।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এমএইচটি