বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে এবং শিক্ষার্থীদের ওপর সিরিয়াল কিলিংয়ের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকার নর্দ্দা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি দুইটি নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যা দেশজুড়ে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থী তাজবির হোসেন শিহান এবং ১৪ ডিসেম্বর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থী ওয়াজেদ সীমান্তকে হত্যা করা হয়। এর সাথে, বাড্ডা লেক থেকে উদ্ধার হয় একটি অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর লাশ। এসব হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং দ্রুত বিচার দাবি করে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
এ দিন বেলা ১১ টার দিকে এই সমাবেশ শুরু হয়, যেখানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এতে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ। তার পাশাপাশি, আরও অনেক বক্তা এসব হত্যাকাণ্ডকে একটি পরিকল্পিত আক্রমণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা দাবি করেন, দ্রুত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে এবং খুনিদের শনাক্ত করে তাদের শাস্তি প্রদান করতে হবে। এছাড়া শহীদ শিহান ও শহীদ সীমান্তের পরিবারকে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান বক্তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা জুলাই বিপ্লবের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। তারা দাবি করেন, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের উপর একের পর এক আঘাত এই বিপ্লবের ওপর আঘাতের শামিল। বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লবকে রক্ষা করার জন্য এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা প্রস্তুত থাকবে।
সমাবেশটির সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র আশরাফুল ইসলাম জায়েদ এবং সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
এইউ
