‘জবিতে পিডি নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ’ শিরোনামে গত ১৮ নভেম্বর ঢাকা মেইলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জবি প্রশাসনের পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে ঢাকা মেইলে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সেখানে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দৃঢ়তার সঙ্গে জানাচ্ছে যে, প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি বিভ্রান্তি ছড়ানোর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনে প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে ‘অভিযোগ আছে, জহির নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে এক কোটি টাকা চুক্তি হয়েছে এই সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিতে। এর মধ্যে ২৫ লাখ টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। জুলফিকারকে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক সিনিয়র সাংবাদিক ও ছাত্রদল নেতার নাম সামনে এসেছে।’
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবেদনে ‘অভিযোগ আছে’ বলা হলেও এর পক্ষে কোনো নথি বা প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। প্রশ্ন হলোঃ ২৫ লাখ টাকা অগ্রিম দেওয়ার যে দাবি করা হয়েছে, সেটির কি কোনো ডকুমেন্ট বা নির্ভরযোগ্য সূত্র আছে? ‘জহির’ নামে ব্যক্তির মাধ্যমে এই চুক্তি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও তার পরিচয় কী এবং কীভাবে এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হয়েছে?
জবি প্রশাসনের পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক সিনিয়র সাংবাদিক ও ছাত্রদল নেতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা কারা? কোনো সুনির্দিষ্ট নাম বা প্রমাণ ছাড়া এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে যে, প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) নিয়োগের ক্ষেত্রে সব নিয়ম মেনে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। উপাচার্য মহোদয় নিজেই বলেছেন: ‘পরিকল্পনা পরিচালক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া আছে, সেখানে উপযুক্ত ব্যক্তি পেলেই আমরা নিয়োগ দেওয়ার চিন্তা করছি। পিডির নিয়োগের বিষয়টা সবার সামনেই আলোচনা করা হয়েছে। এখানে গোপনীয়তার কিছু নেই। প্রতিবেদনে প্রকৃত সত্যকে উপেক্ষা করে নিছক গুজব এবং কাল্পনিক তথ্য প্রচার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুসম্পর্ক নষ্ট করার জন্য এই সংবাদে সেনাবাহিনীর কাজ হস্তান্তরের প্রসঙ্গের সঙ্গে পিডি নিয়োগকে জড়ানো হয়েছে। এটি পরিষ্কারভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা।
বিজ্ঞাপন
এমআর