বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সংগঠনটির বিভিন্ন কর্মসূচিতে বেশ সরব থাকতে দেখা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিক কায়েমকে। প্রায় প্রতিটি কর্মসূচিতে তাকে সামনের সারিতে দেখা গেছে। যার ফলে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গেও তার ছিল ঘনিষ্ঠতা। কিন্তু গতকাল হঠাৎ নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে নিজেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি পরিচয় দেন তিনি। তার পোস্ট দেওয়ার পর মুহূর্তের মধ্যেই সামাজিক মাধ্যমগুলোতে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এক যুগেরও বেশি সময় পর ঢাবিতে জামায়াত ইসলামের ছাত্র সংগঠনটির প্রকাশ্যে আসায় নেট দুনিয়ায় শুরু হয় তোলপাড়। ফেসবুকে সাদিক কায়েমকে নিয়ে বেশ লেখালেখি হচ্ছে। অনেকেই রাজনীতি প্রকাশ্যে আনায় তাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। আবার অনেকে দীর্ঘদিন তার সঙ্গে থেকেও রাজনৈতিক পরিচয় না জানতে পেরে অবাক হয়েছেন।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দাবিতে ছাত্র-জনতার সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানে জামায়েত ইসলামী ও ছাত্রশিবিরে ভূমিকা নিয়ে শুরু থেকেই ব্যাপক আলোচনা ছিল সবমহলে। বিশেষ করে ওই সময়ের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ শুরু থেকে বরাবরই দাবি করে আসছিল এই আন্দোলনের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে জামায়াত-শিবির। যদিও ছাত্রসংগঠনটি পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের এ দাবির বিরোধিতা বা সমর্থন করে কিছু বলা হয়নি।
বিজ্ঞাপন
সাদিক কায়েম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ফলাফলে নিজ বিভাগের মধ্যে তৃতীয় হয়েছিলেন। এই শিবির নেতার বাড়ি চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলায়। পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত সংগঠন হিল সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক।
ঢাবির শিবির সভাপতির হঠাৎ প্রকাশ্যে আসার বিষয়টিতে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন ফ্রান্সে থাকা মানবাধিকারকর্মী ডা. পিনাকী ভট্টাচার্য। ঢাবিতে শিবিরের রাজনীতি প্রকাশ্যে শুরু হলে বিরাজনীতিকরণের পরিকল্পনা ঠেকিয়ে দেওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি।
ফেসবুকে পিনাকী লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রাজনীতি মুক্ত করার চক্রান্তের মুখে সাদিক কায়েম খুবই সঠিক পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড নিয়েছেন। ঢাবিতে শিবিরের রাজনীতি প্রকাশ্যে শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজনীতিকরণের পরিকল্পনা ঠেকিয়ে দেওয়া যাবে। ছাত্র রাজনীতিকে ভিলেইন বানানোর সুশীল চক্রান্ত আমাদেরকেই রুখে দিতে হবে। বাংলাদেশের মতো দেশের ছাত্ররা একটা গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিরোধের শক্তি। এই শক্তিকে নির্বীর্য করে দেয়ার চেষ্টা অনেক দিন থেকে চলছে। সকল ছাত্র সংগঠন তাদের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিকে সচল করুক। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনি উৎসব দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুখরিত হোক।
বিজ্ঞাপন
আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান সামিও ঢাবি শিবির সভাপতির প্রকাশ্যে আসার বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। কারণ প্রকাশ্যে রাজনীতি করার সুযোগ না পেয়েও সাদিক কায়েমের মতো একজন নেতা তৈরি করতে পেরেছে শিবির।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, একটা স্ট্যাটাস লেখার জন্যে দুপুর থেকেই চিন্তা করছিলাম, বানরের তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে উঠার মতো অবস্থা হয়েছিলো আমার সিদ্ধান্তের। এক ফুট উঠে, তো আবার দুই ফিট স্লিপ করে নিচে নামে। স্বভাব যেহেতু এ ধরনের মতামত চেপে রাখার বিপক্ষে, তাই আমিও আর চেপে রাখতে পারলাম না। তৈলাক্ত বাঁশটা পার করেই ফেললাম।
ছেলেটাকে আমি চিনতাম সালমান নামে। পরিচয় জুলাইর ২৫ তারিখ থেকে। তারপর নিয়মিতই কথা হতো। আমার খুব কাছের বন্ধুদের একটা নেটওয়ার্ক অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু সমন্বয়ককে নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করে। মূলত সালমানের সাথে কো-অর্ডিশন করেই সব আয়োজন করা হয়। বয়সে বেশ ছোট সালমানের সাথে বেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ একটা সম্পর্ক তৈরি হয় আমার ও আমার বন্ধুদের। ডিবি কার্যালয় যখন সমন্বয়কদের শীর্ষ নেতৃত্ব আটক, তখন সালমান ও অন্যান্য সমন্বয়করা পুরো আন্দোলনের নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়। নিরাপদ আবাসে থাকা সবার সাথেই আমার নিয়মিত যোগাযোগ হতো, সত্যি বলতে কী সালমানের পুরো পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ দেখে আমি বেশ অবাকই হচ্ছিলাম। কতইবা বয়স তার হয়তো ২৪/২৫ হবে, তারপরও এই ছেলে যেভাবে সকল পরিস্থিতি আমার বন্ধুদের পরামর্শে ম্যানুভার করেছে এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ সব স্ট্রাটেজিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
এই তো কয়েকদিন আগেই কথা হলো সালমানের সাথে, কোনো পরিবর্তনই নেই ছেলেটার মধ্যে, নিরহংকার সেই একই সালমান। অন্য সকল সমন্বয়কদের থেকে সালমান ও কাদের এই দুটো ছেলে একেবারেই ভিন্ন। দু'জনের নেতৃত্বই অত্যন্ত বলিষ্ঠ। তো আজকে দুপুরে জানলাম সালমানের প্রকৃত নাম সাদিক কায়েম এবং তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি। অবশ্যই অবাক হয়েছি, বেশ অবাক হয়েছি। কিন্তু প্রকাশ্যে রাজনীতি করার সুযোগ না পেয়েও শিবির যে সালমানের (আমার কাছে সে সালমানই থাকবে) মতো একটা নেতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে তার জন্য সাধুবাদ জানাই। ছাত্র রাজনীতি সুষ্ঠু ধারার গণতন্ত্রের জন্যে অত্যাবশ্যক এবং তার সদ্ব্যবহার করে যে কোন রাজনৈতিক দলই যদি সালমান কিম্বা কাদেরের মতো তরুণ-তরুণীদের এত ম্যাচিউরড নেতা/নেত্রী হিসেবে তৈরি করতে পারে, তাহলে মন্দ কি?
নাজমুল হাসান রাসেল নামে একজন লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে যে রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি হচ্ছে, তা আমাদের ভবিষ্যৎ ছাত্ররাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চব্বিশের শহীদদের স্বপ্নের বাস্তবায়নে আমরা নতুন ছাত্ররাজনীতির জন্য একতাবদ্ধ হতে চাই। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মতপার্থক্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা সকলেই এই পথে এগিয়ে যেতে পারি।’
আলমগীর হোসেন নামে একজ লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন আমাদের জন্য সবকিছুকে যেন আরও সহজ করে দিন। আমার মনে হয়, এই প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের কোন সভাপতি সংগঠনের পদবি ব্যবহার করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।’
তবে ঢাবি শিবির সভাপতির হঠাৎ প্রকাশ্যে আসার বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ আলম। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘সাদিকের শিবিরের সভাপতি ঘোষণা নিয়ে আমার আপত্তি নেই, আপত্তি যে সে নিজের পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ছাত্রদের সাথে ও জনতার ঈমানের প্রতি বেঈমানি করেছে। সমন্বয়করা অরাজনৈতিক জেনেই তাদের ডাকে সাড়া দিয়েছে সবাই। শিবিরের কারো ডাকে সাড়া দেয়নি। ছাত্রদের মধ্যে বাদবাকী কেউ শিবির থেকে থাকে তারাও ঘোষণা দিয়ে বের হয়ে যাক। অন্য দলের থাকলেও বের হয়ে যাক। এ ধরনের কাজ মোনাফেকি কাজ কারবার। সাদিক নিজে মোনাফেক, তার পরিচয় গোপন রেখে জামায়াত ও দল হিসেবে জাতির সাথে মোনাফেকি করেছে বলে আমি মনে করি।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপপ্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করা আশরাফুল আলম খোকন ফেসবুকে লিখেছেন, কোটা আন্দোলন জামাত শিবিরই করেছে, অন্য কেউ করেনি। আবারো বলছি জামাত শিবিরই করেছে, অন্যরা শুধু ব্যবহৃত হয়েছে। তারা পরিচয় গোপন করে কৌশলী ছিলো, ব্যৱহৃত ব্যক্তিরা গিয়েছে হুজুগে। এবং অরাজনৈতিক আন্দোলন ভেবে জনগণ প্রতারিত হয়েছে। আমাদের প্রতি তাদের অনেক ক্ষোভ জমা ছিল, তাই আর বাছবিচার করেনি। আওয়ামী লীগ দেশের উন্নতির জন্য সব করেছে, চরম শত্রুও স্বীকার করে। কিন্তু মানুষকে অবজ্ঞা করেছি, অবহেলা করেছি। আর, আমাদের পতন ঘটাতে, এই ক্ষোভকে জামাত ব্যবহার করেছে।
আশরাফুল আলম খোকন আরও লিখেছেন, আমরা বার বার বলেছি, এটা রাজনৈতিক আন্দোলন, নেতৃত্বে জামাত শিবির, এরা সাধারণ শিক্ষার্থী না। জনগণ বিশ্বাস করেনি। কারণ, আমরা বিশ্বাস যোগ্যতা হারিয়েছি, কথায় কথায় ভিন্নমতের মানুষকে জামাত শিবির ট্যাগ দিয়ে। যখন সত্যিই এসেছে, তখন বিশ্বাস করেনি। ভিন্নমত মানেই যে জামাত শিবির না, তা অনেক রথী মহারথীকেও বুঝাতে পারতাম না। জামাত জনগণের পালস বুঝেই কৌশলী হয়েছে। জাতীয় পতাকা মাথায় বেঁধেছে, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজিয়েছে, জাতীয় সংগীত গেয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছে। আবার, সফল হয়েই প্রথমে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল ভেঙেছে, জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধে লেগেছে। যাকে বলে মোনাফেকি। ওরা যখন কৌশলে সারাদেশে সংগঠিত হয়েছে, আমরা তখন ক্ষমতার মোহ-দম্ভ-অহংকার আর ক্ষমতা উপভোগে মত্ত ছিলাম। দোষ আমাদেরই, প্রতিপক্ষ সুযোগের ব্যবহার করেছে।
এদিকে শিবিরের প্রকাশে আসা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অন্যান্য ছাত্র সংগঠনও। ছাত্রদল কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও সংগঠনটির নেতাকর্মীরা গোপন রাজনীতি বাদ দিয়ে শিবিরের প্রকাশ্যে আসাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারা প্রত্যাশা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি ইউনিট ও হলের সব শিবির নেতাকর্মী প্রকাশ্যে এসে আগামীতে ছাত্ররাজনীতি করবেন।
ফেসবুকে স্ট্যাটাসে যা লিখেছিলেন সাদিক কায়েম
গতকাল শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লাউঞ্জে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাদিক কায়েম নিজেকে ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি বলে পরিচয় দেন। পরে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।
ফেসবুকের ওই পোস্টে সাদিক কায়েম লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শোষণ শুধু ছাত্ররাজনীতি নয়, রাজনীতির সংজ্ঞাই পাল্টে দিয়েছে। ফ্যাসিবাদে কোন রাজনীতি থাকে না। বিরাজনীতি ফ্যাসিবাদের ভাষা। ফ্যাসিবাদ ছাড়া সকল বাদ, ইজম ও রাজনীতি ফ্যাসিবাদে অনুপস্থিত থাকে। ফ্যাসিবাদে কোন রাজনীতি নাই, শুধু ফ্যাসিবাদই আছে। টেন্ডারবাজি, গুম, খুন, ক্রসফায়ার, ফাঁসি, ধর্ষণ, রাহাজানি, দুর্নীতি এসব রাজনীতি না। এগুলি ফ্যাসিবাদ।
আওয়ামী ফ্যাসিবাদের গত ষোল বছরের ভয়ংকর দিনগুলো কিংবা তারও পূর্বের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো রাজনীতির প্রতি তীব্র ঘৃণা সৃষ্টি করেছিল তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। কিন্তু চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সমস্ত ভুল ভেঙে দিয়েছে। রাজনীতি সম্পর্কে তৈরি হয়েছে নতুন সচেতনতা। দেয়ালে দেয়ালে লেখা হচ্ছে, ‘এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি।’
আমরা জানি এই স্বাধীনতার জন্য শহীদ হয়েছে রাজনৈতিক দল সংশ্লিষ্ট এবং দলের আওতামুক্ত রাজনীতি সচেতন ছাত্র-জনতা। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটানোর চেয়ে বড় রাজনীতি আর কোনো রাজনীতিই না। আমরা চাই সেই রাজনীতির আদর্শে ছাত্ররাজনীতির ব্যাপক ইতিবাচক সংস্কার হবে। ভবিষ্যতের ছাত্ররাজনীতিতে মত-দ্বিমত হবে, যুক্তির পাথরে সবাই বিক্ষিপ্ত হবে, কিন্তু কোন হকিস্টিক কিংবা স্ট্যাম্প থাকবে না। কোনো গেস্টরুম, গণরুম থাকবে না। চব্বিশের আকাঙ্ক্ষাকে বুকে নিয়ে এগিয়ে যাবে এই ছাত্ররাজনীতি। মধুতে ভিন্নমতের কেউ চা খেলে অপর পক্ষের কেউ তেড়ে আসবে না। একাডেমিক পরিবেশে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে ছাত্রসংসদ ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি।
গণতান্ত্রিক দেশে ভিন্নমতের প্রতি থাকবে সম্মান কিন্তু কেউ যেন স্বৈরাচারী না হয়ে উঠতে পারে সে ব্যাপারে রাখতে হবে সজাগ ও পূর্ণ দৃষ্টি। এই রাজনৈতিক সংস্কারে অবশ্যই চব্বিশের শহীদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকতে হবে, তা না হলে ভেস্তে যাবে আমাদের এই স্বাধীনতা। আমরা চাই ছাত্ররাজনীতির সংস্কার গবেষণা, পলিসি ডায়ালগের মধ্য দিয়ে তা বাস্তবায়িত হোক। এ লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
এমআর

