শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কোটা বাতিল করে দ্রুত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ পিএম

শেয়ার করুন:

কোটা বাতিল করে দ্রুত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবি

চলতি বছরের ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল দ্রুত প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন অংশগ্রহণকারী চাকরি প্রত্যাশীরা। একইসঙ্গে ওই পরীক্ষার ফলাফলে ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগসহ দুটি দাবি জানিয়েছে তারা।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে বৈষম্যবিরোধী চাকরিপ্রত্যাশী আন্দোলনের এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।


বিজ্ঞাপন


সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চলতি বছরের ২৯ মার্চ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ৪৬ হাজার ১৯৯ জন উত্তীর্ণ হন। এরপর গত ৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ১৯৯ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। মৌখিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় তিন মাস পার হলেও এখনও ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ অনুসারে উক্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলা ৬০ শতাংশ, পোষ্য ২০ শতাংশ ও পুরুষ ২০ শতাংশ ধার্য রয়েছে। যা মেধার চূড়ান্ত অবমাননা।

কোটা বাতিল প্রসঙ্গে তারা বলেন, গত ২৩ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোটা সংক্রান্ত পূর্বের সকল পরিপত্র/প্রজ্ঞাপন/আদেশ/নির্দেশ/অনুশাসন রহিত করেছে। তাই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ৯৩ শতাংশ মেধা ও ৭ শতাংশ কোটা অনুসরণ করতে আইনগত কোনও জটিলতা থাকার কথা না।

দাবি সংক্রান্ত কর্মসূচির কথা জানিয়ে বলা হয়, নিয়োগের ফলাফল প্রণয়নের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা কোটা সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে ৯৩% মেধা ও ৭ শতাংশ কোটা অনুসরণের দাবিতে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনে তিন দিন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান করেছিলেন আন্দোলনের পরিবর্তে লিখিতভাবে নিজেদের দাবি জানাতে। আমরা সেই অনুযায়ী মানববন্ধন কিংবা আন্দোলনের পরিবর্তে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবি জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

কোটা ছাড়া পূর্ববর্তী কিছু পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে দাবি করে তারা জানান, সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন জারির আগে অনুষ্ঠিত কয়েকটি নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত হয়েছে/প্রকাশিতব্য রয়েছে, যেগুলোতে সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করা হয়েছে অর্থাৎ ৯৩ শতাংশ মেধা ও ৭ শতাংশ কোটা অনুসরণ করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (পিএসসি), বিভিন্ন পদের নিয়োগ পরীক্ষা- কর অঞ্চল ১২। এমতাবস্থায় আমরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বলতে চাই যে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের ওপর দিয়ে এই কোটা প্রথা কোনোভাবেই বহাল থাকতে পারে না। কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে এত প্রাণহানির পর কোনো অবস্থাতেই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ এ উল্লিখিত কোটা বহাল থাকতে পারে না। কোটা বৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মেধাবীদের নিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য আমরা দুই দফা দাবি পেশ করছি, যা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে পুরণ করতে হবে।


বিজ্ঞাপন


তাদের দুই দফা দাবি হলো

১. প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা কোটা সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে ৯৩ শতাংশ মেধা ও ৭ শতাংশ কোটার ভিত্তিতে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) চূড়ান্ত ফলাফল দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।

২. ৩১ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত শুন্যপদসমূহের বিপরীতে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

৭২ ঘণ্টা মধ্যে এসব দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এমএইচ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর