ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের দুজন করে মোট চারজন শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৮ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান চাঁন ও মাহবুবুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগে অধ্যাপক মো. মোশাররফ হোসেন ও অধ্যাপক সুমন দাসের পদত্যাগ ও অব্যাহতির দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল করেন বিভাগ দুটির শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের দাবি- তাদের অভিযুক্ত দুজন শিক্ষক দুর্নীতিগ্রস্ত অসাধু এবং প্রবল ধর্মবিদ্বেষী, বৈষম্যকারী। ড. এম ওয়াহিদুজ্জামান এবং মাহবুবুর রহমান ডিপার্টমেন্টে ঠিকমতো ক্লাস নেন না, শিক্ষার্থীদের বৈষম্য ও হয়রানি করেন। এমনকি এক শিক্ষার্থীকে ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, শুধু হিজাব পরার কারণে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক হেনস্থা করেন ড. মাহবুবুর রহমান লিটু। পর্দা পালনকারী শিক্ষার্থীদের তিনি বিশ্ববিদ্যালয় আসার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করে এর শিক্ষার্থীদের অনুভূতিতে আঘাত দেন। তিনি পর্দা পালনকারী এবং ধর্মপ্রাণ শিক্ষার্থীদের নাম্বার কমিয়ে দেন, এমনকি এক শিক্ষার্থীকে মাস্টার্সে ফেল করিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাছাড়া পুরো সেমিস্টারজুড়ে তিনি একটিও ক্লাস নেননি।

শিক্ষক গবেষণা ইনস্টিটিউটের অভিযুক্ত অপর শিক্ষক ডক্টর এম ওয়াহিদুজ্জামান চাঁন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন ব্যাপক দুর্নীতি করে গণমাধ্যমে উঠে আসেন। এরপর তিনি তার স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটেও। সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষের শক্তি হওয়ার কারণে ভালোই সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছিলেন তিনি। নীল দলের কঠোর সমর্থক এবং অন্যতম কুশীলব এই শিক্ষককে পরিচালক পদে চাচ্ছেন না বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি- এই দুই শিক্ষক যতক্ষণ না পর্যন্ত পদত্যাগ করছেন ততক্ষণ তারা ক্লাসে ফিরবেন না। পুরো আইইআর অচল হয়ে থাকবে।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন এবং অধ্যাপক সুমন দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ-স্বৈরাচারের দোসরবৃত্তি, ছাত্রী হেনস্থা, শিক্ষার্থীদের দমন-পীড়ন করার। ফলে কেউই তাদের বিভাগের শিক্ষক চান না। তাদের পদত্যাগ এবং অব্যাহতি চান শিক্ষার্থীরা।
আরএ/জেবি

