ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে পার্শ্ববর্তী আনন্দবাজারে একাধিক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ এসেছে। সেখানকার বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ঢাকা মেইলের কাছে এই অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্তদের তালিকায় আছেন, প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের আসফাক সরকার আবির, আইআইটি বিভাগের জুনায়েদ ইসলাম, ফলিত রসায়ন বিভাগের জাহেদ হোসেন। তারা সবাই হল শাখা ছাত্রলীগের পদধারী নেতা। জাহেদ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আবির ও জুনায়েদ সাংগঠনিক সম্পাদক।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও তাদের সহযোগিতায় বহিরাগত অনেকে দোকানগুলো থেকে ফ্রি খেতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷
অভিযোগ রয়েছে, বিসমিল্লাহ বিরানি হাউজ, নুরুল ইসলাম হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টসহ ফাস্টফুড ও কয়েকটি দোকানের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নানা রকম উপায়ে অর্থ আদায় করতেন ছাত্রলীগ নেতারা। এছাড়া ফ্রি খেতেন অমর একুশে হল ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
বিসমিল্লাহ বিরিয়ানি হাউজের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অমর একুশে হলের সব স্তরের নেতাকর্মীই তাদের দোকানে খেতেন, কিন্তু কোনো বিল দিতেন না। অনেক টাকার বিল হলেও তারা কখনোই সেই টাকা পরিশোধ করতেন না। টাকা চাইলে উল্টো হুমকি ধামকি দিয়ে ভয় দেখাতেন।
দীপ নামে এক বহিরাগত অমর একুশে হল ছাত্রলীগের যোগসাজসে প্রচুর ফ্রি খেতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কর্মচারী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দ্বীপ প্রচুর ফ্রি খেতেন। তার কাছে অন্তত ৪২ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে।’
নুরুল ইসলাম হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের পরিচালক আব্দুল আজিজ জানান, অমর একুশের হলের সভাপতি মনন ও সেক্রেটারি সোহাগ প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে চাঁদা নিতেন। পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগের চার নেতার চার গ্রুপ এই চাঁদার টাকা আদায় করতেন।
তিনি আরও জানান, আনন্দবাজারের প্রায় সব দোকান থেকেই টাকা তুলতেন ছাত্রলীগের এসব নেতাকর্মী। তিনিও জাহেদ আবির এবং জুনায়েদের নাম উল্লেখ করেন।
সরকার পরিবর্তনের ফলে গত কয়েক দিন ধরে চাঁদাবাজি না হওয়ায় বেশ স্বস্তিতে আছেন বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
প্রতিনিধি/জেবি