মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

বিক্ষোভের মুখে জবির ছাত্রী হল খোলা রাখতে বাধ্য হলেন প্রভোস্ট!

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, জবি
প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৫ পিএম

শেয়ার করুন:

বিক্ষোভের মুখে জবির ছাত্রী হল খোলা রাখতে বাধ্য করল ছাত্রীরা!

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে একমাত্র ছাত্রী হল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীদের বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে নির্দেশনা দেওয়ার আগে থেকেই হল না ছাড়ার ঘোষণা দেন ছাত্রীরা।

বুধবার (১৭ জুলাই) উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে ৯৭তম জরুরি সিন্ডিকেটে এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আইনুল ইসলাম।


বিজ্ঞাপন


হল ত্যাগের এমন সিদ্ধান্তের পর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন ছাত্রীরা। তারা সবাই একে একে হলের নিচে নেমে আসেন এবং একসঙ্গে জড়ো হয়ে হল প্রভোস্টের রুমের সামনে অবস্থান নেন। এসময় তাদের বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দিতে দেখা যায়। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এসময় তারা প্রভোস্টকে অবরুদ্ধ রাখেন।

এক পর্যায়ে হল প্রভোস্ট দীপিকা রানী সরকার ছাত্রীদের কাছে ২০ মিনিট সময় চেয়ে নেন। এর মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ছাত্রীদের জানানো হবে বলে আশ্বস্ত করেন। পরবর্তী হল প্রভোস্ট এবং হাউজ টিউটররা এসে পুনরায় মেয়েদেরকে হলে থাকার ঘোষণা দেন।

এসময় প্রভোস্ট দীপিকা রানী সরকার বলেন, যে সব শিক্ষার্থী হলে থাকতে চায়, তারা থাকতে পারবে। যারা চলে যেতে চায় তারা চলে যাবে। বিদ্যুৎ, পানি সবকিছু সচল থাকবে।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হল প্রভোস্টকে লিখিত আকারে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি দিতে বলে। বিজ্ঞপ্তি না প্রকাশ করা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা হল প্রভোস্টের রুম ও অফিস রুম তালা দিয়ে আবদ্ধ করে রাখে।


বিজ্ঞাপন


এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদেরকে এমন একটা পরিস্থিতিতে হল ছাড়তে বলা হচ্ছে এটা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। আমরা হল ছাড়ব না। আমরা প্রভোস্টের সাথে কথা বলেছি। তিনি আমাদেরকে বলেছেন পরবর্তী কোনো নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত তোমরা হলে থাকতে পারবে। আর হলের সব সার্ভিসও চালু থাকবে। আমরা লিখিত আকারে নোটিশ চেয়েছি, যেন আমরা থাকতে পারি।

এ বিষয়ে কথা বলতে হলের প্রভোস্ট ড.দীপিকা রাণী সরকারকে কল দেওয়া হলে এখন কথা বলা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, একটা ইস্যুর মধ্যে আছি। এরপর কল কেটে দেন। পরবর্তীতে আবারও চেষ্টা করেও তারা সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

প্রতিনিধি/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর