বেসরকারি শিক্ষকদের পুর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদান ও মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের লক্ষ্যে আসন্ন বাজেটে শিক্ষাখাতে মোট বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দের দাবির জানিয়েছে বাংলাদেশ মাদরাসা জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমজিটিএ)।
শুক্রবার (২০ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন, বাংলাদেশ মাদরাসা জেনারেল টির্চাস এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. হারুন অর রশিদ।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা বলেন, গত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল ২৬ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৬ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা এবং কারিগরি ও মাদরাসা খাতে বরাদ্দ ছিল মাত্র ৯ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খাত থেকে কারিগরি ও মাদরাসায় ২টি বিভাগে বরাদ্দ কম থাকায় মাদরাসা শিক্ষায় তেমন কোনো উন্নতি করা হয়নি। তাই আসছে, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে বাজেটে কারিগরি ও মাদরাসা ২টি বিভাগের বাজেট ১৫ হাজার কোটি টাকা এবং মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের লক্ষ্যে আসন্ন বাজেটে শিক্ষাখাতে মোট বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দের প্রয়োজন রয়েছে।
বক্তারা বলেন, শিক্ষা ছাড়া কোন জাতীর অগ্রগতি সম্ভব নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তাই শিক্ষাখাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দের প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট’র সচিব ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম শাজু বলেন, এই সরকারের আমলে আমাদের প্রাপ্তির পাশাপাশি অপ্রাপ্তিও রয়েছে। এ সব অপ্রাপ্তি দূর করতে হলে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণের আওতায় আনতে হবে। এতে বিভিন্ন কমিটি ও রাজনৈতিক দৌরাত্ম কমার পাশাপাশি এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে। একই সঙ্গে শিক্ষকরা তাদের চাকরির নিশ্চয়তা পাবে, শিক্ষার মান বাড়বে, সব শ্রেণির মানুষ এই সুবিধা ভোগ করবে।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী বরাবরে ৭ দফা দাবি তুলে। দাবিগুলো হলো-
১। বেসরকারি শিক্ষকদের পুর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদান।
২। আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসায় প্রভাষকদের ৮ বছর পূতিতে ৫০ শতাংশ হিসেবে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রদান ও ১৬ বছর পূর্ণ হলে সকল প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রদান।
৩। সরকারি নিয়মে শিক্ষকদের মেডিকেল ও বাড়ি ভাড়া প্রদান।
৪। বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি প্রথা চালু।
৫। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা এমপিও ভুক্তকরণ ও নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তকরণ।
৬। মাদরাসায় প্রশাসনিক পদে জেনারেল শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদান।
৭। মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. শান্ত ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন— স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক সাইদুর রহমান পান্না, বিএমজিটিএ’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, সুলতান আহমেদ, মেহেদি হাসান সরকার, ফিরোজ আলম, কেএম শামিম, মো. এলিন তালুকদার, সহসভাপতি আব্দুস সাকুর, কবি সুরুজ্জামন, শাহআলম, যুগ্মসম্পাদক মেহেদি হাসান, জসিম উদ্দীন, মো. মনিরুজ্জান, আলাউদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, আরমান শাহজাদা, কামরুজ্জামান প্রমুখ।
এসএএস/এএস

