সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলসহ চার দফা দাবিতে দীর্ঘ সময় ধরে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই এখানে কর্মসূচি পালন করছে। ফলে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে এই এলাকায় যানবাহন চলতে না পারায় আশপাশের সড়কে ছড়িয়ে পড়েছে যানজট। বিশেষ করে মৎসভবন, পল্টন, প্রেসক্লাব, কাঁটাবন এসব এলাকায় দুপুর থেকে যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে ঢাকার বড় দুটি হাসপাতাল বারডেম ও বিএসএমএমইউতে সেবা নিতে রোগী ও স্বজনদেরও বেশ দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে আন্দোলনের কারণে।
বিজ্ঞাপন
যদিও ফার্মগেট থেকে শাহবাগমুখী যানবাহন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের রাস্তা দিয়ে রমনা পার্কের পাশের রাস্তা ব্যবহার করে চলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে। আবার বাংলামোটর হয়ে ও অপরপাশে কিছু গাড়ি নিউমার্কেট হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে এবং চানখারপুল দিকে চলাচল করছে।
তবে স্বল্প গাড়ি চলাচল করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেকেই লম্বা সময় যানজটে বসে থেকে হেঁটে গন্তব্যের দিকে ছুটছেন।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বারবার শিক্ষার্থীদের সড়ক ছাড়ার অনুরোধ করা হলেও তাতে কর্ণপাত করছে না আন্দোলনকারীরা। বরং লম্বা সময় ধরে সড়কে থাকবেন এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। তবে এক পর্যায়ে পুলিশ এদের ছত্রভঙ্গ করতে অ্যাকশনে যেতে পারে এমন আভাস পাওয়া গেছে। তবে বিকেল সোয়া ৫টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশও নিরাপদ দূরত্বে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
বিজ্ঞাপন
চার দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো—
১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা।
২. পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠনপূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সমস্ত গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যতীত)।
৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া।
৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
বিইউ/এএস