মোনাশ কলেজ গ্র্যাজুয়েশন কনভোকেশন-২০২৪ আয়োজন করেছে বাংলাদেশে মোনাশ কলেজের একমাত্র অংশীদার ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি)।
শনিবার রাতে শেরাটন ঢাকায় আয়োজিত এই জমকালো সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোনাশ ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশন ইয়ার এবং মোনাশ কলেজ ডিপ্লোমা (বিজনেস, ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং)-সহ মোনাশ কলেজের ভিন্ন ভিন্ন প্রোগ্রাম সম্পন্নকারী ১০৩ জন শিক্ষার্থীর হাতে স্নাতকের সনদ তুলে দেয় ইউসিবি।
বিজ্ঞাপন
ইউসিবি’র মাধ্যমে এযাবৎ তিনটি ব্যাচ মোনাশ ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশন ইয়ার এবং মোনাশ কলেজ ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছে। কনভোকেশন আয়োজনে এসটিএস গ্রুপের সিইও মানাস সিং এবং ইউসিবি’র ডিরেক্টর জারিফ মুনিরসহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে আয়োজনে যুক্ত হন বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ইউসিবি’র প্রেসিডেন্ট ও প্রভোস্ট প্রফেসর হিউ গিল। পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর ও বোর্ড সদস্য জারিফ মুনির। স্নাতকদের উদ্দেশ্য ও করণীয় প্রসঙ্গে আলোকপাত করেন প্রতিষ্ঠানের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অব এডুকেশন ম্যাথিউ কার্টার। শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনা দিয়ে সর্বশেষে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন।
মোনাশ ইউনিভার্সিটি অস্ট্রেলিয়ার ডক্টরেট ডিগ্রীধারী এবং ইউসিবি’র একাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডিন অধ্যাপক মো. ইসমাইল হোসেন স্নাতক সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন। এ পর্যায়ে মোনাশ ফাউন্ডেশন ইয়ার এবং মোনাশ কলেজ ডিপ্লোমা সম্পন্নকারী সকল শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়। অনন্য মেধার স্বাক্ষর রেখে বিশেষ পুরস্কার জিতে নেন মোট সাতজন শিক্ষার্থী, যাদের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী দু’টি আইটি পরীক্ষায় বিশ্বে সর্বোচ্চ স্কোর অর্জন করেছে। এছাড়া, ইউসিবি’তে অধ্যয়নকালে স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে দায়িত্বপালন এবং বিভিন্ন মানবিক (দাতব্য) কাজে জড়িত থাকার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়।
ইউসিবি’র ডিরেক্টর জারিফ মুনির বলেন, আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাফল্যের সাথে স্নাতক সম্পন্ন করতে দেখে আমি গর্বিত। মোনাশ কলেজের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ইউসিবি দেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে তাদের সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশের পথ তৈরি করছে, যাতে তারা নিজেদের ও দেশের ভবিষ্যত আরো উজ্জ্বল করে তুলতে পারে।
বিজ্ঞাপন
ইউসিবি’র প্রেসিডেন্ট ও প্রভোস্ট প্রফেসর হিউ গিল বলেন, আমাদের মোনাশ প্রোগ্রামে উত্তীর্ণ (পাস) হওয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থী বিশ্বের শীর্ষ ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষার নিশ্চিত সুযোগ পায়। আমাদের সকল শিক্ষার্থী সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়। এই যাত্রায় তাদের সহযোগিতা করতে পেরে আমি আনন্দিত।
বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন বলেন, বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়া এই দুই দেশই শিক্ষার সুযোগ তৈরির ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিশীল। ফলে দুই দেশের মধ্যে গড়ে উঠেছে দৃঢ় সম্পর্ক ও শক্তিশালী বন্ধন। এদেশে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ তৈরি করার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। বিশেষ করে, ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশের মতো অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান উচ্চশিক্ষা গ্রহণের এই প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। স্নাতক সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন। আমি মনে করি, এই শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে এবং বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
দেশের ভবিষ্যত সমৃদ্ধ করে তোলার জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে বিশ্বমানের শিক্ষার গুরুত্ব স্বীকার করে ইউসিবি, আর এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়-অনুমোদিত প্রথম আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৪ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং অনুসারে বিশ্বে মোনাশ ইউনিভার্সিটি’র অবস্থান ৪২তম। এই সেরা মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে শক্তিশালী অবস্থান গড়ার ভিত্তি অর্জন করছেন। তাছাড়া ইউসিবি’র বিশেষায়িত প্রোগ্রাম গুলোর মাধ্যমে সরাসরি মোনাশ ইউনিভার্সিটি’তে ভর্তির সুযোগও পাচ্ছেন দেশের শিক্ষার্থীরা।
এমআইকে/এএস