বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার ক্যারিকুলামের উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের বিকাশ, ভাষাগত দক্ষতা বৃদ্ধিসহ দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার (১৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) ফুলব্রাইট স্কলারশিপ পুনরায় চালু করার অংশ হিসেবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধিরা এ সহযোগিতার কথা জানান।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে মার্কিন দূতাবাসের ফুলব্রাইট স্কলারশিপ পুনরায় চালু করার বিষয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে শিল্প প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক জোরদার, নারীর ক্ষমতায়ন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন এবং স্কলাপরশিপ সুযোগ বৃদ্ধিসহ উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
ঢাকাস্থ আমেরিকান দূতাবাসের কালচারাল অ্যাফেয়ার্স এ্যাটাশে শার্লিনা হোসাইন-মরগ্যান বলেন, আমেরিকান দূতাবাস বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা দিতে আগ্রহী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিকুলাম হালনাগাদ করা, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের বিকাশ, সফট স্কিলস, যোগাযোগ ও ইংরেজি ভাষাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তির পরামর্শ নিতে পারে।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম বলেন, দেশে গুণগত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা এবং উচ্চশিক্ষা সেবা ডিজিটাল করতে ইউজিসি নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ব্লেন্ডেড লার্নিং নীতিমালা প্রণয়ন, অনলাইন অ্যাসেসমেন্ট গাইডলাইন, আউটকাম বেইজড এডুকেশন টেমপ্লেট প্রণয়ন করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষা ও গুণগত গবেষণা, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং শিক্ষার্থীদের সফট স্কিলস বৃদ্ধির বিষয়ে আমেরিকান দূতাবাস সহযোগিতা করতে পারে।
সভায় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান, ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন এবং ট্রেনিং বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, ইউএস ফুলব্রাইট স্পেশালিস্ট ড. শ্যারন হার্ট, ঢাকাস্থ আমেরিকান দূতাবাসের কালচারাল অ্যাফেয়ার্স স্পেশালিস্ট রায়হানা সুলতানা, ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর শাওন কর্মকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এসএএস/এমআর

