বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই/আইটি/আইসিই/আইসিটি বিষয়ে কারিকুলাম হালনাগাদে এই গাইডলাইন বেশ সহায়ক হবে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার (১৮ মে) ইউজিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগমের হাতে এই স্ট্যান্ডার্ড গাইডলাইনের কপি হস্তান্তর করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও জাপান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সহযোগিতায় এই গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে দেশের তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাত সদস্যের কমিটি।
গাইডলাইনের কপি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ ইনামুল কবির, জাইকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিরোকি ওয়াটানাবে, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, ইউজিসি’র ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন এবং ট্রেনিং বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যকালে অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, দেশর তরুণ প্রজন্মকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী করে গড়ে তুলতে হলে প্রযুক্তির শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষার জন্য এই গাইডলাইন বেঞ্চমার্ক হিসেবে কাজ করবে। সেই সঙ্গে এই গাইডলাইন বাস্তবায়নে ইউজিসি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবে বলেও জানান তিনি।
অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, এই গাইডলাইন অনুসারে তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষার পাঠ্যক্রম হালনাগাদ করা হলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের গ্রাজুয়েটরা এগিয়ে থাকবে।
এদিকে, অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এই গাইডলাইন অনুসারে তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষার কারিকুলাম প্রণয়ন করা হলে আইসিটি সেক্টরে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের ঘাটতি কমবে। এটি আইসিটি শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করবে। এর মাধ্যমে আইসিটি খাতে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি হবে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে বাংলাদেশের গ্রাজুয়েটদের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।
এ সময় জাপানে আইটি পেশাজীবীদের মাননিয়ন্ত্রক জাতীয় পরীক্ষা আইটিইইসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বাংলাদেশি গ্রাজুয়েটরা ভালো করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এর আগে জাপানের ইনফরমেশন টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ার্স এক্সামিনেশনে দেশের আইটি গ্রাজুয়েটরা যাতে ভালো ফলাফল করতে পারে সে জন্য ২০১৯ সালে দিনব্যাপী এক কর্মশালার আয়োজন করে ইউজিসি। ওই কর্মশালার সুপারিশ মোতাবেক এই গাইডলাইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাপানে ১০ হাজার আইটি ইঞ্জিনিয়ারের কর্মসংস্থান তৈরি, আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও সচেতনতা বাড়াতে যৌথভাবে কাজ করছে ইউজিসি, বিসিসি ও জাইকা।
এসএএস/আইএইচ
