মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ঢাকা

ঢাবিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে মানব পতাকা প্রদর্শন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, ঢাবি
প্রকাশিত: ০৯ মে ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম

শেয়ার করুন:

ঢাবিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে মানব পতাকা প্রদর্শন

ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানব পতাকা প্রদর্শন এবং সংহতি সমাবেশ করেছে একদল শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর ৩ টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মার্চ ফর প্যালেস্টাইনের ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী এই সমাবেশ এবং মানব পতাকার প্রদর্শন কর্মসূচির আয়োজন করে।


বিজ্ঞাপন


সমাবেশে আগত শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের পক্ষে নানারকম স্লোগান দিয়ে সংহতি প্রকাশ করে। এ সময় ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, অকুপেশন নো মোর  স্লোগান দিয়ে তারা রাজু ভাস্কর্যের প্রাঙ্গণ মুখরিত করে তোলে।

সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম বলেন, আজকে ফিলিস্তিনের লড়াই শুধু ফিলিস্তিনের নয় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। সারাদেশের সব ছাত্র এবং তরুণরা এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। সেখানে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীরা নয় শিক্ষকরাও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। আমরা তাদের আন্দোলন এবং ত্যাগের সাথে সংহতি জানাচ্ছি। আমাদের তিনটি দাবি - 

১. গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে হবে,
২. সারা বিশ্বে ফিলিস্তিনের পক্ষে গড়ে ওঠা আন্দোলনগুলোতে নির্যাতন বন্ধ করতে হবে,
৩. এই গণহত্যায় ইসরাইলকে সামরিক এবং অর্থনৈতিক সহায়তা বন্ধ করতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলী সোহেল বলেন, আজকে আমরা ফিলিস্তিনের ভাই-বোনদের দুঃখ কষ্টকে নিজেদের দুঃখ কষ্ট মনে করছি, কারণ আমরা ফিলিস্তিনিদের মতো সকল প্রকার জুলুম নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। ফিলিস্তিনের লড়াই এবং বিরোধ আমাদের লড়াই ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ফিলিস্তিনি এবং আমাদের এই লড়াইকে আন্তর্জাতিক রূপে পরিগ্রহ করতে হবে।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হামলা বন্ধে জবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুম বলেন, বর্তমানে ফিলিস্তিনের আন্দোলন সারা বিশ্বের সকল মানুষের স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ পরিগ্রহ করেছে। সেসব মানুষ যারা আমেরিকাকে সাপোর্ট করছে তাদের হাতে শিশু হত্যার রক্ত লেগে আছে।

বিশিস্ট লেখক রাখাল রাহা বলেন, পৃথিবীর মানুষ বুঝতে পারছে ইসরাইলের এই কাজ সুস্পষ্ট জাতিগত নিধন। অত্যন্ত নির্লজ্জভাবে ইসরাইল রাষ্ট্র এ সকল মতের পক্ষে প্রোপাগান্ডা চালায় ঠিক যেমনটি সাদ্দাম হুসাইনের সময় ইরাক আক্রমণের আগে আমেরিকা চালিয়েছিল। সুতরাং তারা যে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে যে জনমত তৈরি করছে তার বিরুদ্ধে আরেকটি শক্তিশালী জনমত গড়ে তোলা খুব বেশি জরুরি। এসব প্রোপাগান্ডা বন্ধ করতে হবে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাস্ট্র দিতে হবে৷

মানবাধিকার কর্মী শারমিন মোর্শেদ বলেন, এটা যুদ্ধ নয় গণহত্যা৷ বাংলাদেশের জন্যও এর তাৎপর্য অনেক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আবির্ভাব ও জন্মই গণহত্যা দিয়েই শুরু৷ রেড ইন্ডিয়ানদের নিধন করে আমেরিকা গড়ে উঠেছে। তাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে হত্যা জুলুম, দখলদারিত্ব৷

তারা একটা বিশ্বকাঠামো গড়েছে যার মাধ্যমে সারা দুনিয়াকে তারা শোষন করে চলেছে। প্রতিবার মিথ্যা দিয়ে তারা দুনিয়াকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছে। যেদিন ফিলিস্তিন মুক্ত হবে সেদিন আমরাও মুক্ত হবো৷ 

উক্ত সমাবেশে ডক্টর আসিফ নজরুল তার বক্তব্যে বলেন, চেষ্টা করি ফিলিস্তিনের কোনো সংবাদ না দেখতে। কারণ আমি এসব সহ্য করতে পারি না, তাহলে ভাবুন যারা এসব হত্যা করছে তারা কিভাবে পারছে? তারা কি মানুষ পদবাচ্য?। তারা ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে।  আজ আমেরিকার নিজের ঘরে ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠেছে। যতবার এমনটা হয়েছে ততবার আমেরিকাকে পেছনে হটতে হয়েছে। ভিয়েতনাম যুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের মুখে যেমন আমেরিকাকে পিছু হটতে হয়েছিল এবারও পিছু হটতে হবে। দল মত নির্বিশেষে যত ভেদাভেদই থাকুক না কেন সব ঘুঁচিয়ে ফিলিস্তিনির সাথে আমাদের এক হওয়া প্রয়োজন।

এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর