শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ছুটি-খোলা নিয়ে তালগোল অবস্থা, বিভ্রান্তিতে অভিভাবকেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ মে ২০২৪, ০১:২০ পিএম

শেয়ার করুন:

ছুটি-খোলা নিয়ে তালগোল অবস্থা, বিভ্রান্তিতে অভিভাবকেরা
ছবি: সংগৃহীত

গেল কয়েকদিনের তীব্র গরমে স্কুল ও কলেজ ছুটি-খোলা-ছুটি নিয়ে তালগোল পাকানো অবস্থা তৈরি হয়েছে। তাপপ্রবাহে হিট অ্যালার্টের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ছুটি ঘোষণা বাতিল ও আদালতের বন্ধ ও ফের খোলা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন অভিভাবকরা। খোলা বন্ধের এই তালগোল অবস্থায় বিভ্রান্তিতে শিক্ষকরাও।

রোববার (৫ মে) রাজধানীর মগবাজার বেইলি রোড ও আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে থাকা অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এই অবস্থা জানা যায়। 


বিজ্ঞাপন


অভিভাবকরা বলেন, স্কুল খোলা ও বন্ধ নিয়ে খেলা চলছে। তীব্র গরমে বাচ্চাদের অবস্থা খারাপ। এর মধ্যে স্কুল খুলবে না বন্ধ থাকবে এটা নিয়ে তারা বিভ্রান্ত হচ্ছে। একেকবার একেক রকম সিদ্ধন্ত হওয়ায় তাদের পড়াশোনা ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব পড়ছে।

ইস্পাহানি বালিকা বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর মা জারিন আক্তারের কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, গরমের মধ্যে স্কুল খোলা থাকুক, আমরা তো এটাই চাই না। এর মধ্যে একবার স্কুল খুলে আরেকবার বন্ধ করে। এটা বিভ্রান্তিকর। বাচ্চা প্রতিদিন সকালে উঠে জিজ্ঞেস করে আজকে স্কুলে যাবে কি যাবে না। কোন দিন কী সিদ্ধান্ত হয়, জানার জন্য প্রতিদিন মেসেজ চেক করি।

রিশিতা জাহান নামে ওপর এক অভিভাবক বলেন, আমার মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ছুটির কথা শুনেই তার নানা বাড়িতে যাওয়ার বায়না ছিল। আমরাও ভাবছিলাম। কিন্তু সব সময় বিভ্রান্তির মধ্যে আছি। এখন পর্যন্ত কয়েকবার স্কুল বন্ধ ও খোলার ঘোষণা হয়েছে। বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করে ভেবেচিন্তে একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী লামিয়া জান্নাতের মা হামিদা খাতুন বলেন, বাসায় ওর ছোট আরও দুই ভাই আছে। তাদের দেখাশোনা করার জন্য আমি সাথে যেতে পারিনি। তাই ভ্যানের মাধ্যমে স্কুলে পাঠাই। তীব্র গরমে লামিয়া স্কুলেই যেতে চায় না। স্কুল ভ্যানে উঠার কথা বললেই না যাওয়ার নানা বায়না ধরে। এর মধ্যে স্কুল বন্ধের ঘোষণায় স্বস্তি পেয়েছিলাম। এমনকি বাড়ির কাজের মেয়েটাকেও ছুটি দিয়েছি। এর মধ্যে একবার স্কুল বন্ধ হচ্ছে, একবার চালু হচ্ছে। আমি বা বাচ্চা সবাই বিভ্রান্ত। ভ্যানচালক পর্যন্ত বলে, ম্যাডাম কোনদিন আসবো কোনদিন আসবো না সেটাই বুঝতে পারি না।


বিজ্ঞাপন


একই অবস্থা শিক্ষকদেরও। নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক স্কুলের শিক্ষক ঢাকা মেইলকে বলেন, অভিভাবক, স্কুল ভ্যানের চালকরা আমাদের জিজ্ঞেস করে গরমের জন্য স্কুল বন্ধ হবে কি না। আবার বন্ধ হলে কতদিনের জন্য হবে। কবে খুলে দেবে। তাদের এসব প্রশ্নের উত্তর আমাদের কাছেও নেই। আমরাও বিভ্রান্তিতে থাকি। তবুও সিদ্ধান্ত পাওয়ার সাথে সাথে আমরা অভিভাবকদের মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছি। অভিভাবকদের বিভিন্ন গ্রুপেও নিয়মিত সরকারি সিদ্ধান্তের আপডেট দেওয়া হচ্ছে।

এমএইচ/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর