শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

শিক্ষার্থীদের বৃত্তির জন্য তথ্য এন্ট্রির সময় বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ মে ২০২২, ০৮:৩৯ পিএম

শেয়ার করুন:

শিক্ষার্থীদের বৃত্তির জন্য তথ্য এন্ট্রির সময় বাড়ল

সরকারের রাজস্ব খাতভুক্ত সবধরনের বৃত্তির অর্থ এমআইএস সফটওয়্যারে তথ্য এন্ট্রির সময় বাড়ানো হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৯ মে পর্যন্ত সফটওয়্যারে বৃত্তির তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধন করা যাবে।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের উপ-পরিচালক (এক্সেস অ্যান্ড কোয়ালিটি এস্যুরেন্স ইউনিট) মো. নুরুল ইসলাম চৌধুরীর সই করা অফিস আদেশ থেকে এই তথ্য জানা যায়। 


বিজ্ঞাপন


অফিস আদেশে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মতে ২০১৯-২০২০ অর্থবছর হতে রাজস্ব খাতভুক্ত সবধরনের বৃত্তির অর্থ জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাবে পাঠানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বৈশ্বিক অতিমারির কারণে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর তথ্য এমআইএসে যথাসময়ে এন্ট্রি না করায়/এন্ট্রিকৃত তথ্যের মধ্যে বিভিন্ন ভুল (শিক্ষার্থীর নাম, পিতার নাম, পরীক্ষার নাম ও সাল, বৃত্তির ধরণ, ব্যাংক ও শাখার নাম, হিসাবে ও রাউটিং নম্বর ইত্যাদি) থাকায় ২০১৯-২০২০ এবং ২০২০-২০২১ অর্থবছরের সব শিক্ষার্থীর বৃত্তির টাকা তাদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো সম্ভব হয়নি।

আদেশে বলা হয়, ২০১৯-২০২০, ২০২০-২০২১ এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বিভিন্ন শ্রেণিতে বৃত্তিপ্রাপ্ত যেসব শিক্ষার্থীর তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে এন্ট্রি প্রদান করা হয়নি কিংবা ভুল তথ্য এন্ট্রির কারণে ব্যাংক হিসাবে টাকা পাঠানো সম্ভব হয়নি তাদের তথ্য আগামী ১৯ মের মধ্যে সফটওয়্যারে এন্ট্রি/ভুল সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান/দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হলো। 

এমআইএস সফটওয়্যারে তথ্য এন্ট্রিতে মানতে হবে যেসব নির্দেশ 

১. বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী নিয়মিত অধ্যয়নরত রয়েছে নিশ্চিত হয়ে তথ্য এন্ট্রি করা;


বিজ্ঞাপন


২. বাংলাদেশের অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন তফসিলভুক্ত যেকোনো ব্যাংকে শিক্ষার্থীর নিজ নামে। ১৮ বছরের কম শিক্ষার্থীদের পিতা/মাতার সাথে যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব/স্কুল ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে;

৩. যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব/স্কুল ব্যাংক হিসাব খোলা হলে MIS-এ তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নামের স্থালে উভয়ের নাম এন্ট্রি করতে হবে;

৪. শিক্ষার্থীর নামীয় ব্যাংক হিসাৰ নম্বর ব্যতীত পিতা/মাতা/অন্য কারও ব্যাংক হিসাব নম্বর প্রদান করা যাবে না;

৫. শিক্ষার্থীর নাম ও অনলাইন ব্যাংক হিসাবের নাম অভিন্ন হতে হবে;

৬. অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর অবশ্যই ১৩-১৭ ডিজিটের মধ্যে হতে হবে এবং সঠিক ও নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে;

৭. বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর পরীক্ষার নাম ও সন, পরীক্ষার আইডি/রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং প্রাপ্ত সিজিপিএ সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে;

৮. বৃত্তির ক্যাটাগরি (মেধা/সাধারণ) সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে;

৯. ব্যাংকের নাম, শাখার নাম, রাউটিং নম্বর এবং শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নম্বর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে;

১০. ব্যাংক হিসাবটি বর্তমানে অবশ্যই সচল থাকতে হবে;

১১. বিকাশ, শিউর ক্যাশ, নগদসহ এ ধরনের কোনো এজেন্ট ব্যাংকের হিসাব নম্বর প্রদান না করা;

১২. শিক্ষার্থীদের তথ্য MIS Software-এ যথাযথভাবে এন্ট্রি হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য দুইজন শিক্ষককে দায়িত্ব প্রদান করতে হবে। 

১৩। তথ্য প্রেরণের ক্ষেত্রে ভুল বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান/দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন।

এসএ/জেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর