ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বহিরাগত প্রবেশ সীমিতকরণ, অবাধ যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং শব্দদূষণ মুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে মানববন্ধন ও পদযাত্রা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৬ মার্চ) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানবন্ধন শেষে একটি প্রতিবাদী মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেন তারা।
বিজ্ঞাপন
‘নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই’, ‘শব্দ দূষণ বন্ধ করো’, ‘ক্যাম্পাস এলাকায় মাদক সেবন চলবে না’, ‘বেপরোয়া গাড়ি চলাচল বন্ধ কর’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যটন কেন্দ্র নয়’ ইত্যাদি স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধন করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসকে বহিরাগত মুক্ত করা সম্ভব নয় তবে বহিরাগত সীমিতকরণ সম্ভব। বিভিন্ন দিবসে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের যাতায়াত বেড়ে যায়। নিজেদের বহিরাগত মনে হয়। কিছুদিন আগে ক্যাম্পাসে এক নারী শিক্ষার্থীকে হয়রানি করে এক মাদকাসক্ত। ক্যাম্পাসে অনেক ভবঘুরে দেখা যায় যারা শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসকে অনিরাপদ করে রেখেছে। আমাদের দাবি একটাই, পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস চাই।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম শাহরিয়ার বলেন, ‘নিজ ভূমে পরবাসী’র মতোই প্রাণের ক্যাম্পাসে ঢাবি শিক্ষার্থীরা নিজেরাই বহিরাগত। ছুটির দিন গুলোয়, শুক্র-শনিবারে এই ক্যাম্পাস পার্কে পরিণত হয়। বিগত এক মাস বইমেলা, ১৪ ফেব্রুয়ারি ও ২১ ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ পার্কে পরিণত হয়েছে। প্রক্টরিয়াল টিম দূর থেকে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাধ যান চলাচল, বহিরাগত সীমিতকরণ কঠিন কাজ কিন্তু অসম্ভব নয়। আমরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে নই, তারা অনেক চেষ্টা করছে। প্রশাসনের কষ্ট হলে আমরা সহায়তা করব।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটের কথা বিবেচনায় রেখে ক্যাম্পাসে অবাধ যান চলাচল নির্মূল করতে শাহবাগ থেকে বকশী বাজারের রাস্তা এবং পলাশী থেকে বার্ন ইন্সটিটিউটের রাস্তা বাদে বাকি রাস্তাগুলো সীমিত করার প্রস্তাব দেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রেদওয়ান ইসলাম রানা বলেন, ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীরা যৌন হয়রানির শিকার হয় কিন্তু প্রশাসন সান্ত্বনা ছাড়া কিছুই দিতে পারে না। সেদিন এক পাগল এক আপুর রিকশায় উঠে গেছে। এভাবে তো চলতে দেওয়া যায় না। প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
এমএইচটি
