শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ঢাকা

উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে তদন্ত শুরু মঙ্গলবার 

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫৩ এএম

শেয়ার করুন:

উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে তদন্ত শুরু মঙ্গলবার 
ছবি: সংগৃহীত

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার সময় পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ছিঁড়ে ফেলার বিষয়ে হুমাইরা ইসলাম ছোঁয়ার অভিযোগ বিষয়ে গঠিত কমিটি আজ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তদন্তকাজ পরিচালনা করবে। এজন্য ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবককে ডেকেছে তদন্ত কমিটি।

এর আগে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (সরকারি মেডিকেল কলেজ) ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই কথা বলা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এর আগে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক কাজী আফজালুর রহমানকে কমিটির প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর সদস্য সচিব অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের থোরাসিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আলম ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. কামাল হোসেন। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হলি ক্রসের তানজিম সর্বা

হুমায়রা ইসলাম ছোঁয়ার বাসায় পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের আলোকে ২০২৩-২৪ সালের শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রের শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী হুমাইরা ইসলাম ছোঁয়ার অভিযোগ তদন্তের জন্য গঠিত কমিটি ১৩ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টায় তদন্ত কাজ পরিচালনা করবে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপর্যুক্ত তথ্য প্রমাণসহ যথাসময়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়, উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো।

অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রণের জন্য চিঠির অনুলিপি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট দফতর পাঠানো হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এর আগে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার সময় রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দেন হুমায়রা ইসলাম ছোঁয়া। তার অভিযোগ, পরীক্ষা শুরুর ৪০ মিনিট পর তার পাশের একজন হিজাব পরা শিক্ষার্থী থেকে হলের দায়িত্বরত নারী পর্যবেক্ষক কানে থাকা ডিভাইস জব্দ করেন। এ সময় কানে ডিভাইস রাখা মেয়ের সঙ্গে পাশের দুই শিক্ষার্থী হুমায়রা ইসলাম ও আরেকজনের যোগসাজশের অভিযোগ তুলেন। এ সময় তিনি তাদের সবার উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলেন।

কিন্তু ডিভাইস জব্দ করা শিক্ষার্থীর সঙ্গে শেষ পর্যন্ত অন্য দুজনের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত না হওয়ায় পরীক্ষা শেষ হবার ৫ মিনিট আগে হুমায়রা ও তার পাশের আরেকজন মেয়েকে নতুন প্রশ্ন ও ওএমআর শিট প্রদান করেন ওই পর্যবেক্ষক।

দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় বসা হুমায়রা ইসলামের দাবি, ৪০ মিনিটে তিনি ৭৫টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ফেলেছিলেন, যার মধ্যে ৭০টি উত্তর নিশ্চিত সঠিক ছিল।

এমএইচ/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর