যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের শাস্তির দাবিতে একাডেমিক সব ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিভাগের চলমান সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদের অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিজ্ঞাপন
বিভাগের ১৫ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চাই অধ্যাপক নাদির জুনাইদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। যতদিন পর্যন্ত এই অভিযোগের সুষ্ঠু বিচার না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে একাডেমিক সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হোক। ওনার বিরুদ্ধে কথা বললে পরীক্ষার খাতায় নাম্বার কম পাবে শিক্ষার্থীরা, এই ভয়ে আমরা আর থাকতে চাচ্ছি না। আমরা চেয়ারম্যান স্যার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
বিভাগের ১৪ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, তিনি শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন এবং মানসিকভাবে অপমান করার চেষ্টা করেছেন। তাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। তদন্তের মুলা ঝুলিয়ে আসলে আমাদের আন্দোলনকে নিবৃত করা সম্ভব হবে না।
বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানান। সেগুলো হলো- অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে আনা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে; যৌন নিপীড়ককে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাস্তির আওতায় আনতে হবে; তদন্ত চলাকালে বা অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে বিরত রাখতে হবে।
বিজ্ঞাপন
এদিনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৩তম, ১৪তম, ১৫তম, ১৬তম ও ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক নাদির নাদির জুনাইদকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। পরে তার নিজের কক্ষের দরজায় ‘যৌন নিপীড়ক অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত’ সংবলিত একটি পোস্টার ঝুলিয়ে দেন।
এর আগে অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগ তুলে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একটি ব্যাচের ২৮ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরীক্ষার ফল খারাপ করিয়ে দিয়েছেন এই শিক্ষক।
এরপর একই বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থী অভিযোগ তোলেন, তার মাস্টার্সের ভাইভায় অধ্যাপক নাদির জুনাইদ ‘কুকুরের ৫টি জাতের নাম’ জানতে চেয়েছিলেন।
প্রতিনিধি/জেবি