শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

রাবি উপাচার্যসহ ৩ জনকে লিগ্যাল নোটিশ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি
প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩৯ এএম

শেয়ার করুন:

রাবি উপাচার্যসহ ৩ জনকে লিগ্যাল নোটিশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সরাসরি কর্মকর্তা পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের নতুন সংগঠন ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ডিরেক্ট অফিসার এসোসিয়েশন’র সদস্যদের ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) অফিসার সমিতি’ থেকে মাসিক চাঁদা কর্তন বন্ধ না করায় বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ রেজিস্টার অধ্যাপক আবদুস সালাম ও হিসাব পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক শেখ শামসুল আরেফিনকে পৃথক তিনটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত ৮৯ জন কর্মকর্তার পক্ষে এই নোটিশ পাঠান রাজশাহী জর্জ কোর্টের আইনজীবী নূর-এ কামারুজ্জামান (ইরান)।


বিজ্ঞাপন


পৃথক তিন নোটিশ থেকে জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির গঠনতন্ত্রের ৪ এর (ঙ) নম্বর ধারা অনুযায়ী সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ রাবি অফিসার সমিতি থেকে তাদের মাসিক চাঁদা কর্তন বন্ধের জন্য এবছরের গত ২৪ মে RUDOA-০০০২/২০২৩ নং পত্রের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালক বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু তিনি ওই বিষয়ে কোনো ধরনের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গত ২১ সেপ্টেম্বর RUDOA -০০০৪/২০২৩ নম্বর পত্রের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর তারা পত্র প্রদান করেন। তিনিও ওই বিষয়ে কোনো ধরনের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

ফলে গত ১৬ অক্টোবর RUDOA- ০০০৬/২০২৩ নং পত্রের মাধ্যমে রাবি উপাচার্য বরাবর কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়টির দুই উপ-উপাচার্যের উপস্থিতিতে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মৌখিকভাবে চাঁদা কর্তন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

এমতাবস্থায় পৃথক এই নোটিশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, নোটিশ প্রাপ্তির ৭ (সাত) কর্ম দিবসের মধ্যে চাঁদা কর্তন বন্ধের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত ৮৯ কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান চঞ্চল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালক, রেজিস্ট্রার এবং উপাচার্যকে পত্রের মাধ্যমে অনুরোধ জানানোর পর সরাসরি দেখা করেও আমরা এখন পর্যন্ত আমাদের সমাধান পাইনি। এটা আমাদের বেতনের টাকা। তারা আমাদের অনুমতি ছাড়া প্রশাসনিক ভাবে এবং আইনগতভাবে এটা কাটতে পারেন না। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য স্বেচ্ছাচারিতার ভূমিকা রাখছেন। আমরা এ মাস থেকেই এর সমাধান চাই। না হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


বিজ্ঞাপন


টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর