শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ঢাকা

প্রয়াত ভিসির মেয়ের বক্তব্যের প্রতিবাদ জবি শিক্ষক সমিতির

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, জবি
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

প্রয়াত ভিসির মেয়ের বক্তব্যের প্রতিবাদ জবি শিক্ষক সমিতির

প্র‍য়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) শোকসভায় তার মেয়ে তাসলিম হক মোনার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তার বক্তব্যকে অশোভন, দৃষ্টিকটু এবং শোকসভার ভাবগাম্ভীর্য বিনষ্ট করেছে বলে মন্তব্য করেছে সমিতি।

রোববার (১৯ নভেম্বর) জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আইনুল ইসলাম ও অধ্যাপক আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা বলা হয়।


বিজ্ঞাপন


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সদ্যপ্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক স্যারের স্মরণে গত ১৫ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত শোকসভায় কোনো কোনো বক্তা প্রসঙ্গের বাইরে গিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন, যা অশোভন, দৃষ্টিকটু এবং শোকসভার ভাবগাম্ভীর্যকে বিনষ্ট করেছে। উক্ত বক্তারা মাননীয় উপাচার্যের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের ওপর আলোকপাত না করে অযাচিতভাবে শিক্ষকদের দোষারোপ করে একপেশে মন্তব্য করেন, যা অসত্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মাননীয় উপাচার্য একজন সৎ, নিবেদিত প্রাণ এবং দক্ষ প্রশাসক হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড়সম সমস্যাকে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় সমাধানে উদ্যোগী হয়েছিলেন। শিক্ষক সমিতিসহ সকলেই খুব আন্তরিকভাবে মাননীয় উপাচার্যের কর্মযোগে শামিল হয়েছিলেন বলেই তার দায়িত্বকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালযের অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়েছিল।

88

প্রসঙ্গত, সভায় বক্তব্যে প্রয়াত উপাচার্যের মেয়ে মোনা বলেন, জীবিত থাকা অবস্থায় আমরা যেসব মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে গেছি সেটা আসলে অবর্ণনীয়। উনি সুস্থ থাকা অবস্থায় উনার অক্ষমতা দেখিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাবা আইসিউতে গিয়েছেন মাত্র একদিন হয়েছিল তখন আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে আমি জানতে পারি বাবা পাঁচ দিন ধরে আইসিউতে আছেন- এমন একটি সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে জবি শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে৷ এটাতো এক প্রকার এমন বিষয় যে, বাবা জীবিত থাকা অবস্থায়ই বাবাকে মেরে ফেলেছে শিক্ষক সমিতি।


বিজ্ঞাপন


মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ফোন দিয়ে চার্জ করা হয়েছে, যে উনার আসলে কী অবস্থা। উনারা কি আসলেই জানতেন না কী অবস্থা? এমন পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষক সমিতি নিজেদের মধ্যে থেকে উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের দাবি নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাদের হয়রানি করার জন্যই এমনটা করেছে জবি শিক্ষক সমিতি। উনারা মনে করেছিল, আমরা মেয়ে মানুষ, হুমকি দিয়ে কথা বললে চুপ হয়ে যাবো। তখন যারা সহযোগিতা করেছেন আমি তাদের কাছে সবসময় কৃতজ্ঞ থাকব মন থেকে।

এদিকে শিক্ষক সমিতির এই বিবৃতিতে বিক্ষুব্ধ হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, উপাচার্যের পরিবার এমনিতেই শোকে কাতর, তার ওপর এরকম বিবৃতি দিয়ে আরও মানসিকভাবে দুর্বল করা কখনো আশা করা যায় না। বাবার প্রতি অন্যায্য কিছু হলে সন্তানরা তার সমালোচনা করবেন, বিষয়টি স্বাভাবিকই। তাদের এভাবে হয়রানি করা ছোট মানসিকতার পরিচয়।

প্রতিনিধি/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর