শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

শেখ হাসিনা নামটুকুই সবকিছু ধারণ করে: শিক্ষামন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:০৪ পিএম

শেয়ার করুন:

শেখ হাসিনা নামটুকুই সবকিছু ধারণ করে: শিক্ষামন্ত্রী

শেখ হাসিনা নামটুকুই সবকিছু ধারণ করে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘এমন একটা সময় আসবে যখন শেখ হাসিনা নামে সারা বিশ্বের মানুষকে আমরা পুরস্কৃত করতে পারব। ৫০০ বছর পরেও শেখ হাসিনা থাকবেন। তার নাম তখন অনেকেই গর্ব করে বলবেন।’

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত 'গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় সাহসী নেতৃত্ব' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনরা বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে দেশের শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা আজ ঐক্যবদ্ধ। অতীতে দেশের ক্রান্তিলগ্নে শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা যে ধরনের ভূমিকা পালন করেছেন আজও ঐক্যবদ্ধভাবে সকল অপশক্তিকে মোকাবিলা করার সাহসী উচ্চারণ করেন দেশের বিশিষ্টজনের।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শেখ হাসিনা নামটিই সকল গুণাবলী ধারণ করে। বঙ্গবন্ধুকন্যার মধ্যে সকল গুণাবলী নিহিত। কী অসীম মমতায় তিনি বড়দের সম্মান করেন। শিক্ষককে কী করে সম্মান করা যায় সেটি তার মধ্যে ভীষণভাবে রয়েছে। শেখ হাসিনা নামটুকুই সব কিছু ধারণ করে।

প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন মানবিক গুণাবলীর কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সকল কিছু বঙ্গবন্ধু কন্যার মাথার মধ্যে। তিনি কোনো কিছুই ভোলেন না। তার স্মরণশক্তি এতো বেশি যা বলে শেষ করা যাবে না।’

দীপু মনি বলেন, ‘১৯৮১ সালে বৃষ্টিস্নাত দিনে যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন দেশে ফিরলেন তখন মানুষের ঠাঁই ছিল না। অসুস্থ থাকার পরেও আমার বাবা তার প্রিয় হাসিনাকে দেখতে যাবেন কিন্তু বনানী যাওয়ার পর আর যেতে পারলাম না। লক্ষ লক্ষ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তিনি সেদিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পিতার অসমাপ্ত কাজ তিনি সমাপ্ত করবেন। সেটি তিনি পূরণ করেছেন। উন্নত জীবন দেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার তার সব তিনি করছেন। শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখেছেন এবং স্বপ্ন দেখিয়েছেন।'


বিজ্ঞাপন


সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াল ঘটনা বাঙালির জন্য মর্মান্তিক, দুঃখজনক ও ভয়ানক অভিজ্ঞতা। যত উন্নয়নই আমরা করি না কেন-এই ব্যথা ও কলঙ্ক থেকে বাঙালি কোনোদিন মুক্তি পাবে না।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকন্যা যদি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে না আসতেন, আজকের বাংলাদেশে কী হতো। বিরাজ করত গণতন্ত্রহীন, সামরিক শাসনের যাঁতাকল। পঁচাত্তর থেকে শুরু করে নব্বইয়ের ভোট এবং ভাতের অধিকারের স্লোগান তিনি নিশ্চিত করেছেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে।

মশিউর রহমান বলেন, একটি মানুষ ফিরে আসার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক মুক্তি, ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ- এসব আলোর পথ নিশ্চিত হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে দেশ ক্রমাগত অন্ধকারে যেত। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা আমাদের কাছে পবিত্র আমানত। সেই আমানতকে রক্ষা করা আমাদের অঙ্গীকার।'

সভায় আলোচক ছিলেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাশুরা হোসেন।

এছাড়া আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দীন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

বিইউ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর