শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সহযোগী অধ্যাপক হলেন শিক্ষা ক্যাডারের ৬৯০ জন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:২৫ পিএম

শেয়ার করুন:

EDU

দীর্ঘদিন পর একযোগে ৬৯০ জন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজের শিক্ষককে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা সহকারী অধ্যাপক পদে কর্মরত।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) একাধিক বিষয়ের ৬৯০ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


বিজ্ঞাপন


মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে সিনিয়র সহকারী সচিব রেবেকা সুলতানা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এবারও শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের বিষয়ভিত্তিক পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

পদোন্নতি পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক হওয়া শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে অর্থনীতির ৪০ জন, আরবি ও ইসলামি শিক্ষার ২২ জন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির ৩৭ জন, ইংরেজির ৫৯ জন, ইতিহাসের ৩৫ জন, উদ্ভিদবিদ্যার ৩৫ জন, কৃষিবিজ্ঞানের দুইজন, গার্হস্থ্য অর্থনীতির দুইজন, গণিতের ৩২ জন, দর্শনের ৩২ জন, পদার্থবিদ্যর ৩৫ জন, পরিসংখ্যানের চারজন, প্রাণিবিদ্যার ৩৬ জন, বাংলার ৫৯ জন, ব্যবস্থাপনার ৪৭ জন, ভূগোলের ১৪ জন, মনোবিজ্ঞানের সাতজন, রসায়নের ৪০ জন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ৬৬ জন, সমাজকল্যাণের ১৩ জন, সমাজবিজ্ঞানের ১৫ জন, সংস্কৃতের একজন, হিসাববিজ্ঞানের ৪৭ জন, ইসলামি আদর্শ (টিটিসি) একজন, ইংরেজি (টিটিসি) একজন, ইতিহাসের (টিটিসি) একজন, গাইডেন্স অ্যান্ড কাউন্সিলিংয়ের (টিটিসি) একজন, গণিতের (টিটিসি) একজন, প্রফেশনাল ইথিক্সের (টিটিসি) একজন, বাংলার (টিটিসি) একজন, ভূগোলের (টিটিসি) একজন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের (টিটিসি) একজন এবং বিজ্ঞানের (টিটিসি) একজন রয়েছেন।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে যোগদান করে আগের পদের দায়িত্ব পালন করবেন।


বিজ্ঞাপন


মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের বিমুক্তি ও যোগদান প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন হবে। ইনসিটু বা সংযুক্ত সহযোগী অধ্যাপকরা মাধ্যমিক ও উচ্চ অধিদফতরের পরিবর্তে সংযুক্ত কর্মস্থলের নির্ধারিত হারে বেতন ও অন্যান্য ভাতা প্রাপ্য হবেন।

প্রসঙ্গত, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষাসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। পদোন্নতি নিয়েও তাদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ রয়েছে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি তাদের পাঁচ দফা দাবিতে আগামী ২ অক্টোবর সারাদেশে একদিনের কর্মবিরতি পালন করার কর্মসূচি আছে শিক্ষক সমিতির।

‘এই পদোন্নতি দুঃখজনক’

এদিকে মন্ত্রণালয়ের এই পদোন্নতিতে দুঃখজনক বলছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। সংগঠনটির মহাসচিব শওকত হোসেন মোল্যা ঢাকা মেইলকে বলেন, দুই বছরের বেশি সময় পর পদোন্নতি হলো। শিক্ষা ক্যাডারের নানা সমস্যার গুরুত্ব বিবেচনায় যোগ্য সকল কর্মকর্তার পদোন্নতির জন্য মন্ত্রণালয়ে দাবি জানিয়ে এসেছি । দুই বছর পদোন্নতি না দিয়ে পদোন্নতি জট তৈরি করা হয়েছে। পদোন্নতি যোগ্য কর্মকর্তার সংখ্যা বেশি বিধায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সুপার নিউমারারি পদে পদোন্নতির বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সহকারী অধ্যাপক  থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি যোগ্য কর্মকর্তা আছেন প্রায় তিন হাজার জন।  

শওকত হোসেন মোল্যা বলেন, ২৪ তম ব্যাচের চাকরি ১৯ বছর চলছে অথচ বেশিরভাগ কর্মকর্তার পদোন্নতি হলো না। এটা দুঃখজনক। আমাদের বারবার আশ্বাস দিয়েও বিভিন্ন টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করা হয়েছে। আজ মাত্র ৬৯০ জন কর্মকর্তার পদোন্নতি আদেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির দাবির প্রতিফলন ঘটেনি। এমনকি মাউশি থেকে প্রেরিত প্রস্তাবও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

শওকত হোসেন মোল্যা আরও বলেন, যোগ্য সব কর্মকর্তার পদোন্নতি ব্যতীত আংশিক পদোন্নতি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এই জাতীয় প্রহসনের পদোন্নতির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে সাপ্লিমেন্টারি ডিপিসি সভা করে সব স্তরে যোগ্য সকল কর্মকর্তার পদোন্নতি প্রদানের দাবি করছি।

বিইউ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর