শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সহকারী জজ পদে জবির আইন বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীর সাফল্য

এস. এম. শাহাদাত হোসেন অনু, জবি
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৭ পিএম

শেয়ার করুন:

সহকারী জজ পদে জবির আইন বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীর সাফল্য
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগ । ফাইল ছবি

সহকারী জজ পদে ধারাবাহিক সফলতা ধরে রেখেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ষোড়শ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় (বিজেএস) সহকারী জজ পদে মনোনীত হয়েছেন আইন বিভাগের ১১ শিক্ষার্থী। 
 
গত রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ এ এম রেজা জাকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ ফলাফল জানা যায়।

প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, মেধা তালিকায় থাকা ৯৯তম থেকে ১০৪তম পরীক্ষার্থীরা একই নম্বর অর্জন করেছে। এজন্য ১০০ জন চূড়ান্ত মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে অতিরিক্ত আরও চারজনসহ মোট ১০৪ জনকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


প্রকাশিত ফলাফলে মোট ১০৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জবির আইন বিভাগের ১১ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ ও মনোনীত হয়েছেন। উত্তীর্ণরা হলেন, ২০১১-১২ সেশনের রাকেশ হোসেন সুজন, অমল কুমার দাস, সোহেল আহমেদ ও এডভোকেট সুমন হোসেন। ২০১২-১৩ সেশনের জ্যৌতি মুস্তারি, ২০১৫-১৬ সেশনের মোহাম্মদ হোসেন জেমি, আমিনুল ইসলাম খান। ২০১৬-১৭ সেশনের ফাতেমা জামান চৈতি, ২০১৭-১৮ সেশনের সাজ্জাতুল সবুজ, মিনারা জাহান ও আবির ঘোষ হৃদয়।
 
আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের এমন ধারাবাহিক সাফল্যে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগজুড়ে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। 

 

আরও পড়ুন

জবিতে দ্বিতীয় ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণের পরিকল্পনা

ফলাফল দেখে সাজ্জাতুল সবুজ ঢাকা মেইলকে বলেন, একজন আইনের শিক্ষার্থী হিসেবে শুরু থেকেই জুডিসিয়ারি নিয়ে স্বপ্ন ছিল। কিন্তু অনার্স চলাকালীন সময়ে সেভাবে প্রস্তুতি নেই নি। আমার অনার্স চলাকালীন সময়টুকু আমি আমার মতো উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। পড়াশোনার পাশাপাশি প্রায় সকল এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিসেই আমি যুক্ত ছিলাম। অনার্স পরীক্ষা শেষ করে এই বছরের জানুয়ারি হতে আমার আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু হয়। 


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও বলেন, জিরো সাইজ ডাজেন্ট ফিট অল। সবার আলাদা আলাদা স্ট্র‍্যাটেজি থাকে। আপনার স্ট্র‍্যাটেজি আপনি নিজেই তৈরি করুন এবং সেভাবে কাজ করুন। সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ।
 
শিক্ষার্থীদের এমন অবিস্মরণীয় সাফল্য দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সরকার আলী আক্কাস ঢাকা মেইলকে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কষ্ট করে পড়াশোনা করছে। সে হিসেবে এই সাফল্য নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা হলে তারা আরও ভালো করবে। কারণ তখন তারা আরও সুযোগ-সুবিধা পাবে। শিক্ষার্থীদের সফলতার মাত্রা আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করি।
 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশ প্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ঢাকা মেইলকে বলেন, অনেক সুযোগ সুবিধা না পাওয়া স্বত্তেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এমন অর্জন অবশ্যই গর্বের বিষয়। এক্ষেত্রে আইন বিভাগের শিক্ষকদেরও সমান অবদান রয়েছে। শিক্ষকরা যত্ন নিয়েছেন বলেই শিক্ষার্থীরা সফল।

এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর