শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ট্রানজিশন পিরিয়ড বাড়াতে নেদারল্যান্ডের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:০৯ পিএম

শেয়ার করুন:

ট্রানজিশন পিরিয়ড বাড়াতে নেদারল্যান্ডের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ

ট্রানজিশন পিরিয়ড বাড়ানোর জন্য নেদারল্যান্ডের সহায়তা চেয়েছে দেশটিতে সফররত বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল।

শনিবার (১ এপ্রিল) নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিচালক এবং ব্যবসা ও উন্নয়ন রাষ্ট্রদূত স্টিভেন কোলেট এবং ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড পলিসি অ্যান্ড ইকোনমিক গভর্ন্যান্সের বিভাগীয় প্রধান, ডির্ক ক্লাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আহ্বান জানানো হয়।


বিজ্ঞাপন


প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে সফররত প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, নেদারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ, এমসিসিআইর সাবেক সভাপতি নিহাদ কবির।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন। তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, উচ্চতর প্রবৃদ্ধির রূপকল্প, চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন এবং এই গ্র্যাজুয়েশনের ফলে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে সম্ভাব্য যেসব প্রভাব পড়বে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রতিনিধি দল এলডিসি-পরবর্তী যুগে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা, বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত রেখে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নেদারল্যান্ড সরকারকে সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানায়।

এছাড়াও নেদারল্যান্ড সরকারকে বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন রাখার জন্য জিএসপি (ইবিএ) এর ট্রানজিশন পিরিয়ড তিন বছরের পরিবর্তে ছয় বছর বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।


বিজ্ঞাপন


বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের টেকসই কৌশলগত রূপকল্প-২০৩০ এর একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে বলেন যে, এই রূপকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের একটি টেকসই এবং উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা।

তিনি ডাচ সরকারকে শিল্প যাতে করে জ্বালানি ও সম্পদ ব্যবহারে আরও দক্ষতা অর্জন করতে পারে, পুনর্ব্যবহার (রিসাইক্লিং) এবং পরিবেশগত অন্যান্য ক্ষেত্রে আরও সাশ্রয়ী হয়ে উঠতে পারে, সেজন্য জ্ঞান, প্রযুক্তি এবং তহবিল দিয়ে শিল্পকে সহায়তা করার অনুরোধ জানান।

টিএই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর