শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

রোজায় বেড়েছে মেসওয়াক বিক্রি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৪:১৬ পিএম

শেয়ার করুন:

রোজায় বেড়েছে মেসওয়াক বিক্রি

ছালা উদ্দিন, একজন মেসওয়াক বিক্রেতা। ছোট থেকেই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এই ব্যবসা করেন তিনি। পবিত্র রমজান উপলক্ষে বিক্রি বেড়েছে তার। রোজার শুরুর দিকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিদিন বিক্রি হয়েছে। তবে শুধু বায়তুল মোকাররম নয়, রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদের সামনে বিক্রি হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই জিনিসটি।

মেসওয়াক হলো মুসলমানদের দাঁত মাজার উপকরণ যা একটি গাছের ডাল, কাঠ বা শিকড়ও হতে পারে। এটি মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের সুন্নাহ পদ্ধতি। রমজান হলো সিয়াম সাধনার মাস। এই মাসে রাসুল (সাঃ)-এর সুন্নত অনুসারে মেসওয়াকের ব্যবহার করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। 


বিজ্ঞাপন


ছালা উদ্দিন তার দোকানে পাওয়া যায় এমন সব মেসওয়াক নিয়ে ধারণা দিয়ে ঢাকা মেইলকে বলেন, রোজার প্রথম দিকে দু’তিন দিন ৮ হাজার টাকার মতো বিক্রি হতো, এখন কিছুটা কমেছে। কোনো দিন তিন হাজার আবার কোনো দিন ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয় এখন। কয়েক ধরনের মেসওয়াক বিক্রি করেন তিনি। তার মধ্যে জয়তনের ডাল বিক্রি করছেন আকৃতিভেদে ১০০ টাকা, ৫০ টাকা, ৩০ টাকা ও ২০ টাকা প্রতিটি। পিলু গাছের ডাল বিক্রি হচ্ছে শুকনোটি ১০ টাকা ভেজা হলে ২০ টাকা। পিলু হলো এক ধরনের গাছের শিকড় যা পাকিস্তান থেকে আসে। পাইকারী খদ্দর মার্কেট থেকে কিনে আনেন তিনি। এছাড়াও প্রতি পিছ নিমের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা করে।

ছালা উদ্দিন জানান, রোজা ছাড়া মেসওয়াকের চাহিদা থাকে সারাবছর। তবে বিক্রি কিছুটা কম হয়। রোজা ছাড়া প্রতিদিন বিক্রি ১ থেকে ২ হাজার টাকা বিক্রি হয়। 

শুধু ছালা ‍উদ্দিন নয়, বায়তুল মোকাররমের চারপাশের ফুটপাতে মেসওয়াক বিক্রি করার দোকান আছে ৭টি। এর মধ্যে দক্ষিণ গেটের এক মেসওয়াক বিক্রেতা বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, বিক্রি এখন পর্যন্ত ভালো। ১০ রোজার পর এরকম থাকবে না।


বিজ্ঞাপন


নিউমার্কেটের সামনে মেসওয়াক বিক্রি করেন লতিফ জানান, বাজারে পাইকারীতে মেসওয়াক দাম বেড়েছে সে কারণে এখন ৫ টাকায় বিক্রি করা যায় না। সবচেয়ে চিকন ডালের মেসওয়াকও এখন ১০ টাকা। 

এদিকে মেসওয়াকের মতোই বিক্রি হচ্ছে আতর, টুপি, জায়নামাজ। শক্ত টুপি ১২০ টাকা সুতি টুপি ৫০ করে বিক্রি হতে দেখা যায়। বায়তুল মোকাররমের টুপি বিক্রেতা হাসেম মিয়া বলেন, পকেটে রাখতে সুবিধা হওয়ার কারণে সুতি টুপির চাহিদা অনেক। সামনে ঈদ আসতেছে নতুন নতুন ডিজাইনের টুপির চাহিদা বাড়বে।

ডব্লিউএইচ/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর