বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

দাম চড়া হলেও ফলের বাজারে ক্রেতার চাপ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৬:০৮ পিএম

শেয়ার করুন:

দাম চড়া হলেও ফলের বাজারে ক্রেতার চাপ

রমজানের প্রথম দিনের ইফতারে দেশি-বিদেশি ফল রাখতে দোকানে দোকানে ছুটছেন ক্রেতারা। অন্য সময়ের চেয়ে দাম তুলনামূলক বেশি হলেও সাধ্যমত ফল কিনে বাসায় ফিরছেন ধর্মপ্রাণ মানুষ। যদিও বাড়তি দামের কারণে একাধিক দোকান ঘুরে দরদাম করে কিনছেন পছন্দের ফল।

রাজধানীর পুরান ঢাকায় রাস্তার পাশে, অলিগলিতে যেসব ফলের দোকান আছে জুমার নামাজের পর থেকে সেসব দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।


বিজ্ঞাপন


শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, আপেল, মাল্টা, খেজুর, আঙ্গুর আর দেশি ফল তরমুজের প্রতি মানুষের ঝোঁক বেশি। যদিও অন্য দিনের চেয়ে কেজিতে কম হলেও ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দেখা গেছে।

দাম বেশি হওয়ায় বিক্রেতাদের সঙ্গে মৃদু বাকবিতণ্ডাও দেখা গেছে কোথাও কোথাও।

বিক্রেতারা বেশি দামে কেনার যুক্তি দিচ্ছেন। তখন ক্রেতারা পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলছেন, দেশি-বিদেশি ফলের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার বাদামতলী, শ্যামবাজার। যাতায়াত খরচও কম। সেক্ষেত্রে বেশি দাম  হওয়া অযৌক্তিক।

ভিক্টোরিয়া পার্ক জামে মসজিদের সামনে ফল বিক্রেতা সেলিম হোসেন সবসময় দেশি ফল নিয়ে বসেন। বেল, পেয়ারা, সবেদার সঙ্গে আকারে বেশ বড় তরমুজ দেখা গেছে তার দোকানে। জানালেন, বাজারের বড় তরমুজগুলো আনার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দাম নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। ছয় থেকে ১০ কেজি ওজনের তরমুজ আছে।


বিজ্ঞাপন


ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, বড় আকারে ১০০ তরমুজ যেখানে ২০ হাজার টাকায় কেনা যেত এখন ২৫ হাজারেও কেনা যায় না। এরমধ্যে কিছু নষ্ট হয়ে যায়। আনার খরচ আছে। একটা তরমুজে ১০০ টাকা বের করা কঠিন।

দেখা গেছে, তরমুজ কিনতে আসা গ্রাহকদের প্রথমেই প্রশ্ন লাল, মিষ্টি হবে কি না। অনেকে সামনে বসে ছোট করে কেটে নেওয়ার আবদারও করেন।

পাশে বিদেশি ফলের দোকানি ফরিদ হোসেন জানান, সবুজ আঙ্গুর আগে ২০০ টাকা বিক্রি করলেও চলত। এখন ২৫০-২৬০ টাকার নিচে বিক্রি করলে লাভ থাকে না। আপেলের দামও একই রকম।

আঙ্গুর নিয়ে এই বিক্রেতার ভাষ্য, ভালো আঙ্গুর ভালো দাম দিয়ে কিনে লোকজন। কিন্তু যেগুলো ঝরে যায় সেগুলো অর্ধেক দামে বেচতে হয়। প্রতি ঝুড়িতে এক থেকে দুই কেজিও ঝরা আঙুর পাওয়া যায়।

M2

এদিকে ইফতারে বেলের শরবত অনেকের পছন্দ। কিন্তু বেলেও দামের চাপ পড়েছে। একদম ছোট আকারের বেল প্রতিটি ২৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। যদিও দুই দিন আগে সর্বোচ্চ ১৫ টাকায় বিক্রি হতো এই আকারের বেল।

বেল আর বাঙি নিয়ে বসা একজন বিক্রেতা জানান, প্রতিটি বেলের দাম পড়েছে ১৬ টাকা। এক টাকা করে বাজারের খরচ আছে। এরপর ভ্যানে করে নিয়ে আসার খরচ। যে কারণে দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।

এদিকে দেশি-বিদেশি বিদেশি ফলের পাশাপাশি ইফতারের অন্যান্য অনুষঙ্গেরও দাম কিছুটা বেশি। এই যেমন শরবতের জন্য ভুসি, তোকমা দানা। দাম বেশি হলেও গরম শুরু হতে যাওয়ার সময়ে রমজানে গলা ভেজাতে কিনছেন মানুষ।

বিক্রেতা জানান, আগে এক কেজি ভুসি দাম এক হাজার থেকে ১১০০ টাকা ছিল। এখন ১৪০০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ একটাই বাজারে দাম বেশি।

ইসপ গুলের ভুসি কিনতে আসা কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান ঢাকা মেইলকে বলেন, গরম শুরু হয়েছে। এরমধ্যে রোজা শুরু হয়েছে। তাই ইফতারে পানি জাতীয় কিছু খেলে তৃপ্তি লাগবে। কিন্তু একশ গ্রাম কিনতে লাগলো ১৪০ টাকা। সব জিনিসেরই এমন দাম।

বিইউ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর