শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

তিনটি নতুন এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনে কাজ করছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৩, ১০:০৮ পিএম

শেয়ার করুন:

তিনটি নতুন এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনে কাজ করছে সরকার

চাহিদা পূরণে সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, তিনটি নতুন এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন ও এলএনজি আমদানির উৎস বাড়াতে কাজ করছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) পেট্রোবাংলার বোর্ড রুমে আয়োজিত জ্বালানি খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান তিনি।


বিজ্ঞাপন


পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, এলএনজি আমদানির জন্য দেশে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল আছে মহেশখালীতে। দৈনিক ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানির সক্ষমতা রয়েছে। আবহাওয়া ও অন্যান্য কারণে নিদিষ্ট কোনোদিনে হয়তো ৯৯৯ পর্যন্ত সরবরাহ দেওয়া সম্ভব। তবে গড়ে ৮৫ শতাংশের অর্থাৎ ৮৫০ মিলিয়নের বেশি সম্ভব না।

এলএনজি আমদানির সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পায়রায় একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল করার বিষয়ে এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে এক মাসের মধ্যেই একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। টার্মিনালটির সক্ষমতা হবে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট ও পরে বাড়ানো হবে।

এছাড়াও মহেশখালীতে একটি ভাসমান টার্মিনাল নির্মাণে সামিট গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিছু বিষয়ে মতানৈক্য দূর হলেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এ টার্মিনাল থেকে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এলএনজি সরবরাহ করা যাবে। তবে পায়রায় পাইপলাইন না থাকায় গ্যাস সরবরাহ পেতে তিন বছর লাগতে পারে। এর বাইরে মহেশখালীতে স্থলভাগের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। আর জমির বিষয়ে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির অনাপত্তি পেলেই প্রস্তুতি শুরু হবে। এটি প্রথমে ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট সক্ষমতার করা হবে, পরে দ্বিগুণ করা হবে।


বিজ্ঞাপন


>> আরও পড়ুন: এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলএনজি কিনছে সরকার

এক প্রশ্নের জবাবে জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, বর্তমানে কাতার এবং ওমান থেকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। বছরে ৫৬টি এলএনজি কার্গো সরবরাহ করে দেশদু’টি। চুক্তি অনুসারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে আনুপাতিক হারে এ দাম নির্ধারিত হয়। এতে করে বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম চড়া হলেও তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যায় এই চুক্তি অনুসারে। দেশদু’টির সঙ্গে সরবরাহ আরও বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। তারা সরবরাহ বাড়াতে সম্মত হয়েছে, এখন দাম পরিমাণ চূড়ান্ত করা হবে। আমাদের কাছে আরও বেশকিছু প্রস্তাব রয়েছে, সেগুলো নিয়ে কাজ করছে আরপিজিসিএল।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, একটি স্বস্তির খবর হচ্ছে- আন্তর্জাতিক বাজারে (খোলা মার্কেটে) এলএনজির দাম কমে এসেছে। সর্বশেষ যে দরটি চূড়ান্ত হচ্ছে তাতে ১৩ ডলারের কাছাকাছি পড়বে। এ সময় জুন পর্যন্ত ১২টি কার্গো আমদানি করা হবে বলেও জানান তিনি।

টিএই/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর