ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব খোলার ক্ষেত্র আরও সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শ্রমনির্ভর অতিক্ষুদ্র বা ভাসমান উদ্যোক্তা, প্রান্তিক পেশায় নিয়োজিত সেবা প্রদানকারীদের অ্যাকাউন্ট খুলতে লাগবে না ট্রেড লাইসেন্স। একইসঙ্গে হিসাব খোলার ক্ষেত্রে ন্যূনতম টাকার বাধ্যবাধকতাও তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রোববার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সম্পর্কি একটি সার্কুলার জারি করেছে।
বিজ্ঞাপন
‘ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব' নামে নতুন এই পদ্ধতি নিয়ে সার্কুলারে বলা হয়, শ্রম নির্ভর অতিক্ষুদ্র ও ভাসমান উদ্যোক্তা, বিভিন্ন প্রান্তিক পেশায় নিয়োজিত সেবা প্রদানকারী ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজস্ব তৈরি বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত পণ্য বিক্রেতা ও সেবা প্রদানকারীদের ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে আনতে ব্যক্তিক রিটেইল হিসাবের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হিসাব বলে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।এ হিসাবে কোনো ধরনের ট্রেড লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না।
এসব হিসাবের ন্যূনতম জমার বাধ্যবাধকতা এখন থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত থাকবে। অর্থাৎ ন্যূনতম কোনো অর্থ এ হিসাবে রাখতে হবে না। এ হিসাবে এক হাজার টাকা থাকলে গ্রাহক চাইলে পুরো টাকা তুলতে পারবে। অন্যান্য হিসাবে ন্যূনতম একটা অঙ্কের টাকা রাখতে হয়। এছাড়া ব্যক্তিক রিটেইল হিসাবের বিপরীতে কোনো ধরনের হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি আদায় না করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ নির্দেশনা ফলে সঞ্চয়ী হিসাবে কমপক্ষে ৫০০ টাকা বা চলতি হিসাবে কমপক্ষে দুই হাজার টাকা রাখার যে বাধ্যবাধকতা আছে, সেটা আর থাকছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দেয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব’ খুলতে ই-কেওয়াইসি ও ব্যাংক হিসাব খুলতে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এটি চলতি হিসাবের মতোই পরিচালিত হবে। বাণিজ্যিক উদ্দেশে ব্যবহার করা যাবে এ হিসাব। তবে এই হিসাবে লেনদেনের সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিজ্ঞাপন
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এ হিসাবের মাধ্যমে মাসে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকার বেশি লেনদেন করা যাবে না। এ হিসাবের এককালীন স্থিতি হবে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা।
বিইউ/এমআর
