পণ্যের দামে এক বছরে পরিবর্তন কতটা?

বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়া। তার ঠিক এক বছর পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশে নিত্যপণ্যের দাম কেমন ছিল তা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে বাংলা।
টিসিবির ওয়েবসাইট অনুসারে, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নাজির বা মিনিকেট চাল প্রতি কেজির সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ৬২ টাকা। ২০২৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তা কমে দাঁড়ায় ৬০ টাকায়।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতি কেজি খোলা সাদা আটার দাম ছিল ৩৪ টাকা। ২০২৩ তা বেড়ে হয়েছে ৫৬ টাকা।
গত বছর প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৬০ টাকা। ২০২৩ সালে তা হয়েছে ১৬৮ টাকা। বড় দানার মসুর ডাল প্রতি কেজির দাম গত বছর ছিল ৯৫ টাকা। এ বছরও তাই আছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৫ টাকা। ২০২৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা।
দেশি রসুন প্রতি কেজির দাম গত বছর ছিল ৩০ টাকা, এ বছর তা হয়েছে ১২০ টাকা। শুকনো মরিচ প্রতি কেজি গত বছর ছিল ১৫০ টাকা, এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ৩৭০ টাকা।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতি কেজি দেশি হলুদের দাম ছিল ২০০ টাকা। ২০২৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তা বেড়ে দাঁড়ায় ২২০ টাকা।
দেশি আদার প্রতি কেজি ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ছিল ৮০ টাকা। চলতি বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮০ টাকা। একই সময়ে জিরার দাম ৩২০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫০ টাকা কেজি হয়েছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ছিল ৬০০ টাকা। ঠিক এক বছর পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তা ছিল ৭০০ টাকা।
গত বছর ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৫০ টাকা, যা এ বছর ২০৫ টাকা।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৭৫ টাকা। আর ২০২৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১০ টাকা।
প্যাকেটজাত লবণ প্রতি কেজির দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৮ টাকা হয়েছে। আর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি হালির দাম ছিল ৩৬ টাকা, যা ২০২৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দাঁড়ায় ৪৪ টাকা।
/জেএম