শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

মহাসড়ক থেকে শত কোটি টাকার রফতানিযোগ্য পোশাক চুরি: বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:১২ পিএম

শেয়ার করুন:

মহাসড়ক থেকে শত কোটি টাকার রফতানিযোগ্য পোশাক চুরি: বিজিএমইএ

মহাসড়কে কাভার্ডভ্যান থেকে শত শত কোটি টাকার রফতানিযোগ্য তৈরি পোশাক চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সেই সঙ্গে পোশাক শিল্পের পণ্য চুরি বন্ধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের চলমান কাজ আগামী মার্চের মধ্যেই সম্পন্ন করার পাশাপাশি চুরির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর উত্তরায় পোশাক শিল্পে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ।


বিজ্ঞাপন


সাম্প্রতিক সময়ের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত জানুয়ারি মাসের শুরুতে ব্রাজিল থেকে ক্রেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রফতানিকারককে জানায় যে, প্রায় বেশিরভাগ কার্টনের ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ পোশাক তারা বুঝে পায়নি। এমনকি কিছু কার্টন খালি ছিল। ওই শিপমেন্টে ২৬ হাজারের বেশি পোশাক ছিল। এরমধ্যে প্রায় ৮ হাজারের মতো পোশাক চুরি হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি জানান, এই চুরির ঘটনায় ইতোমধ্যে জড়িত চক্রের মূল হোতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। পাশাপাশি যে কাভার্ডভ্যানে করে চক্রটি ব্রাজিলের পণ্য চুরি করেছিল, সেই কাভার্ডভ্যানটিও জব্দ করা হয়েছে।

ফারুক হাসান বলেন, কার্টনে পোশাকের পরিবর্তে ঝুট বা মাটি প্রদান করা হয়েছে, যাতে ওজন ঠিক থাকে। এতে করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, দেশ মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে।

এ দিন মহাসড়কে পোশাক চুরি বন্ধে বেশকিছু দাবি তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের চলমান কাজ দ্রুততার সঙ্গে আগামী মার্চ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। পাশাপাশি চুরির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তি নিশ্চিত করা ছাড়াও প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে চুরিতে জড়িতদের ধরতে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দাদেরও কাজে লাগানোর প্রস্তাব করেন তিনি।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, কতিপয় নামসর্বস্ব কোম্পানি এসব চুরির মালামাল ক্রয় করে স্টকলট হিসেবে বিভিন্ন দেশে রফতানি করে। স্টকলট রফতানির ক্ষেত্রে মালের উৎস নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে বিজিএমইএ বা বিকেএমইএ থেকে সনদপত্র গ্রহণের মাধ্যমে রফতানির অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে। এ সময় কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি, ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি, কাভার্ডভ্যান চালক এবং হেলপারদের ডাটাবেইজ প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে শেয়ার করার ব্যবস্থা রাখার দাবি জানান তিনি।

টিএই/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর