বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন আইএমএফের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:১১ এএম

শেয়ার করুন:

বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন আইএমএফের

দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে বাংলাদেশের জন্য ৪৫০ কোটি ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৭ হাজার ২০৫ কোটি টাকার (প্রতি ডলার ১০৫ টাকা হিসাবে) ঋণ অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফ কার্যালয়ে স্থানীয় সময় সোমবার আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের সভায় এই ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়।


বিজ্ঞাপন


আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ২.২ শতাংশ সুদে নেওয়া সাত কিস্তির এই ঋণের প্রথমটি আগামী ফেব্রুয়ারিতেই পেতে পারে বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারিতেই প্রথম কিস্তির ৩৫২ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ডলার ছাড় হওয়ার আশা করছে সরকার। শেষ কিস্তি আসবে ২০২৬ সালে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কা থেকে ভিন্ন: আইএমএফ

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে পড়া বাংলাদেশ রিজার্ভ বাড়াতে এমন অর্থের প্রত্যাশায় ছিল। বাংলাদেশকে ঋণ দিতে গত নভেম্বরে ঢাকায় কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছায় আইএমএফ।

সেই ঋণচুক্তির শর্তসহ খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্যেই বাংলাদেশ সফর করেন আইএমএফের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ। এরপর বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফ এর নির্বাহী বোর্ডের সভায় ওঠে এবং অনুমোদন পায়।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে আইএমএফ

ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আইএমএফের প্রতি এই ঋণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ, মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দসহ যে দলটি এই ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিল, তাদের প্রতি জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যারা এই ঋণ প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করেছেন, তাদের প্রতিও রইল কৃতজ্ঞতা’।

আরও পড়ুন: সক্রিয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা আইএমএফের

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেছিলেন যে আইএমএফ হয়তো বা আমাদের এই ঋণ দেবে না। তাঁরা ভেবেছিলেন, আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাগুলো দুর্বল, তাই আইএমএফ এ ঋণ প্রদান থেকে বিরত থাকবে। এ ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে এটাও প্রমাণিত হলো যে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাগুলো শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এবং অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো।’

এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর