বুধবার, ৮ মে, ২০২৪, ঢাকা

চামড়া খাতে শতভাগ মূল্য সংযোজন হচ্ছে: এফবিসিসিআই সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:৪৩ পিএম

শেয়ার করুন:

চামড়া খাতে শতভাগ মূল্য সংযোজন হচ্ছে: এফবিসিসিআই সভাপতি

চামড়া খাতে শতভাগ মূল্য সংযোজন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, দেশি চামড়া যথাযথভাবে সংরক্ষণের মাধ্যমে এই খাতের বিকাশে আন্তর্জাতিক মানের কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার বা সিইটিপি অত্যন্ত জরুরি।

রোববার (২২ জানুয়ারি) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, চামড়া বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় একটি খাত। শতভাগ মূল্য সংযোজন হচ্ছে এই খাতে। চামড়াজাত পণ্য তৈরির জন্য কাঁচা চামড়া আমদানি করতে হয় বিদেশ থেকে; অথচ উন্নত ব্যবস্থাপনার অভাবে পচে নষ্ট হচ্ছে দেশীয় কাঁচা চামড়া। দ্বিতীয় বৃহত্তম এ রফতানি খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সাভারের হেমায়েতপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের (সিইটিপি) আন্তর্জাতিক মান ও দ্রুত এর শতভাগ বাস্তবায়ন জরুরি বলে জানান তিনি।
 
দেশীয় চামড়া সংরক্ষণে প্রতিটি জেলায় একটি করে হিমাগার ও আধুনিক পশু জবাইখানা বা স্লটার হাউস নির্মাণ করা যেতে পারে বলে মত দেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথভাবে পশু জবাই পরিচালনা করা গেলে স্লটার হাউসও একটি ভালো ব্যবসার উৎস হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, চামড়া সংরক্ষণে হিমাগারের ব্যবহার বাড়ানো গেলে চাহিদা অনুযায়ী বছরের যেকোনো সময় কাঁচা চামড়ার যোগান দেওয়া সম্ভব। 

সভায় স্ট্যান্ডিং কমিটির কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ শাহীন আহমেদ বলেন, চামড়া খাত একটি সম্ভাবনাময় খাত। মোট চাহিদার প্রায় ৬০ ভাগ কাঁচা চামড়া আসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে, কিন্তু উন্নত ব্যবস্থাপনার অভাবে সেগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়না। দেশি কাঁচা চামড়া সংরক্ষণের মাধ্যমে আমদানি কমাতে আধুনিক স্লটার হাউজ বা পশু জবাইখানার ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত হিমাগার নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও লেদারেক্স ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল হাসান সোহেল। চামড়া খাতের উন্নয়নে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানতগুলোর সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা ও পশু জবাই স্থানগুলোর বাণিজ্যিকীকরণ করার আহ্বান জানান তিনি।


বিজ্ঞাপন


বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, নাসিব সভাপতি মির্জা নুরুল গণি শোভন, কমিটির কো-চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন মজুমদার, এফবিসিসিআইর পরিচালক হাফেজ হারুন, মো. নাসের ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক প্রমুখ। 

টিএই/এইউ 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর