শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুল্কমুক্ত তুলা চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:৪৬ এএম

শেয়ার করুন:

যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুল্কমুক্ত তুলা চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশের মোট রফতানির প্রায় ৮২ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক রফতানি করে। আর যুক্তরাষ্ট্র বৃহৎ তুলা উৎপাদনকারী দেশ। তৈরি পোশাক কারখানায় ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তুলা আমদানি করে থাকে। রফতানি বেশি হলে বেশি পরিমাণ তুলা আমদানি করতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বৃহৎ রফতানি বাজার। তৈরি পোশাক কারখানায় ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তুলা আমদানিতে ডিউটি ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিলে আমাদের এ শিল্পের জন্য সুবিধা হয়।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকায় হোটেল র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘চতুর্থ গ্লোবাল কটন সামিট বাংলাদেশ, ২০২৩’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আইয়ুবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন— যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হেলেন লা ফেভ, ঢাকাস্থ ব্রাজিল দূতাবাসের অ্যাম্বাসেডর পাউলো ফারনানদো ডায়াস ফেরিস, ঢাকাস্থ অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, বিটিএমএ’র প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন, বিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান প্রমুখ।


বিজ্ঞাপন


বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে চলমান তৈরি পোশাক রফতানি করতে বাংলাদেশের ৯ মিলিয়ন বেল্ট তুলার প্রয়োজন হয়, যার মাত্র এক লাখ ৫০ হাজার বেল্ট তুলা দেশে উৎপাদিত হয়, যা মোট চাহিদার প্রায় ১.৬ শতাংশ। বাকি বিপুল পরিমাণ তুলা বাংলাদেশকে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশ দেশে তুলা উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোয় আরও প্রচেষ্টা চালানো হবে। এ উৎপাদন দ্বিগুণ হলেও বিপুল পরিমাণ তুলা বাংলাদেশকে আমদানি করতে হবে। এক্ষেত্রে তুলা আমদানিতে ডিউটি ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আগামী দুই বছরের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রফতানি করতে চাইলে বিপুল পরিমাণ তুলার প্রয়োজন হবে। তুলার উৎপাদন বাংলাদেশে কীভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বসে আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করা হবে। কম্বোডিয়ার মতো বিশ্বের অনেক দেশে জমি অব্যবহৃত থাকে। সেখানে মানুষ কম, চাষাবাদের প্রয়োজন হয় না। আমাদের দেশে দক্ষ জনবল আছে। এ ধরনের জমি লিজ নিয়ে যদি সেখানে তুলা উৎপাদন করে দেশে আনা যায়, তা দিয়ে তুলার চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

ডব্লিউএইচ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর