আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের নির্বাহী বোর্ডের সভায় উঠছে বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাব। আগামী ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রস্তাবের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের সভায় অনুমোদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চায় বাংলাদেশ। গত জুলাইয়ে ঋণ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল আইএমএফের কাছে।
গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আইএমএফের বার্ষিক সভায় ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভার এক ফাঁকে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বাধীন দল আইএমএফের সঙ্গে এক দফা আলোচনাও করলেও চূড়ান্ত কিছু হয়নি।
ঋণ পেতে হলে বাংলাদেশকে বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে বলে জানানো হয়েছিল। ঋণের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে অক্টোবরে ঢাকায় আসে আইএমএফের একটি দল। সে সময় ঋণ নিয়ে সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বাজেট সহায়তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থায়নে আইএমএফের সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করতে পাঁচ দিনের সফরে গত শনিবার ঢাকায় আসেন অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহের নেতৃত্বে আইএমএফের আরেকটি প্রতিনিধি দল।
সফরে শেখ হাসিনা এবং আগের দিন রোববার অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সাক্ষাতের করে তারা।
তিনজনের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি আনন্দের উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে অ্যান্তইনেত মনসিও বলেন, ‘সোমবার (১৬ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আগের দিন রোববার অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি অত্যন্ত আনন্দের। কয়েক দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। এসব উদ্যোগ বাংলাদেশে দারিদ্র্য হ্রাসে এবং জীবনমান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।’
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এখন বৈশ্বিক ধাক্কার প্রভাব মোকাবিলা করছে উল্লেখ করে আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই ধাক্কাগুলোর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি দেশটির এই ধাক্কা সামলানোর নানা আয়োজনকে স্বাগত জানাই।’
৩০ জানুয়ারি আইএমএফের পর্ষদে বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন হলে সংস্থাটি ৪২ মাসে সাত কিস্তিতে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশ। ঋণের প্রথম কিস্তির ৩৬ কোটি ডলার আগামী মার্চে আসবে। শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি দেখে পরের প্রতিটি কিস্তি ছাড়বে আইএমএফ।
এমআর
