মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ১৩তম দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় অনেকটা বেড়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় দর্শনার্থীর সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় বাড়লেও সেই তুলনায় বেচাকেনা হয়নি।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালের দিকে মেলায় লোক সমাগম কম থাকলেও দুপুরের পর থেকেই মানুষের পদচারণা বাড়তে থাকে মেলা প্রাঙ্গণে।
বিজ্ঞাপন
দিনভর মেলায় অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়েছে। মেলায় অন্যান্য পণ্য থাকলেও হোম টেক্সট, ক্রোকারিজ ও পোশাকেই আগ্রহ বেশি ক্রেতাদের। বিভিন্ন স্টল থেকে শীতের পোশাক, ব্লেজারসহ বিভিন্ন পোশাকের পাশাপাশি চাদর, বিছানার চাদর, ম্যাট, কুশন ইত্যাদি কিনছেন ক্রেতারা।
মেলায় ভিশন ইলেক্ট্রনিকস, ওয়ালটন, ভিসতা, জেবিকোর স্টল ঘুরে দেখা যায়, চায়ের কেতলি, লন্ড্রি, রাইস কুকার, রুম হিটারের মতো পণ্যের বিক্রি বেশি হচ্ছে। ব্লেজারের পাশাপাশি বিভিন্ন পোশাক ও থালা-বাসনও কিনছেন গ্রাহকরা। বিশেষ বিশেষ পণ্যে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে কোম্পানিগুলো।
মেলায় ক্রেতা ছাড়াও সাধারণ দর্শনার্থীও ঘুরে ঘুরে দেখছেন বিভিন্ন স্টলের পণ্য। তবে মেলা উপলক্ষে বিগত বছরগুলোর মতো তেমন ছাড় দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে গ্রাহকদের।
ঢাকার মগবাজার থেকে বান্ধবীকে নিয়ে মেলায় কেনাকাটা করতে এসেছেন রিধিমা আক্তার। তিনি ঢাকা মেইলে বলেন, ‘অনেক দূর থেকে এখানে এলাম পছন্দের কিছু কেনার জন্য। একটা বিছানার চাদর কিনেছি। কিন্তু অন্যান্য পণ্যে ছাড় দেখিনি। মেলায় স্টলের পরিমাণ কম, মজুদও কম। অবস্থার পরিবর্তন না হলে এবার আর মেলায় আসা হবে না।’
বিজ্ঞাপন
ক্রেতারা বলছেন, স্টলে-স্টলে ঘুরে যাচাই করছেন পণ্যের মান। তবে বিক্রি তুলনামূলক কম হচ্ছে।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে মেলায় দশনার্থী কিছুটা কম থাকলেও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে মানুষের সংখ্যা। বিকেল গড়াতেই মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আগমন বাড়তে থাকে।
বিক্রেতারা আরও জানান, মেলার প্রথমদিকে সাধারণত বিক্রি কম হয়। এবারও তাই হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে চেয়ে এই শুক্রবারে ভিড় কিছুটা বেশি। তবে ইজতেমা না থাকলে ভিড় আরও বাড়ত।
এইচআর/এমআর