মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

রমজানে পণ্য আমদানিতে বিশেষ কর সুবিধা চান ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:৫১ পিএম

শেয়ার করুন:

রমজানে পণ্য আমদানিতে বিশেষ কর সুবিধা চান ব্যবসায়ীরা

আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার পাশাপাশি সাপ্লাই-চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আমদানিকারকদের বিশেষ কর সুবিধা প্রদানের দাবি জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে ডিসিসিআই’র নব-নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সাক্ষাৎকালে সংগঠনটির সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার এই দাবি জানিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


এ সময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা চেম্বারের সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলীসহ পরিচালনা পর্ষদের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

>> আরও পড়ুন: ভারত থেকে পাইপলাইনে তেল আসছে ফেব্রুয়ারিতে

সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশ রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে এবং অনেক উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রফতানিতে ৮-১৬ শতাংশ হারে শুল্ক প্রদান করতে হবে। এমতাবস্থায় আমাদের রফতানির ধারাকে অব্যাহত রাখতে সম্ভাবনাময় দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর ছাড়াও প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও সংস্কারের পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পখাতের প্রস্তুতি- প্রভৃতি বিষয়ে কার্যকর কৌশল নির্ধারণ একান্ত অপরিহার্য।

বর্তমানে দেশের রফতানির বাজার অধিক মাত্রায় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল জানিয়ে তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকায় নতুন নতুন বাজারে পণ্য রফতানিতে আরও বেশি হারে নজর দিতে হবে। সেই সঙ্গে এলডিসি পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে রফতানি সম্ভাবনাময় দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।


বিজ্ঞাপন


>> আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে রফতানি ৮০ বিলিয়ন ডলার করার টার্গেট

ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার বলেন, ২০২৬ সালের পর বৈশ্বিক বাজারে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পণ্য আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্কহার হ্রাস করা প্রয়োজন। কারণ, প্রতিযোগী অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের এই হার তুলনামূলকভাবে বেশি।

আসন্ন রমজান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সাপ্লাই-চেইন নিরবচ্ছিন্ন থাকা প্রয়োজন, যেন সাধারণ মানুষ সহনীয় মূল্যে পণ্য ক্রয় করতে সক্ষম হয়। পণ্যের মূল্য সহনীয় ও সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রমজান মাসে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারকদের কর সুবিধা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।

এ সময় বাণিজ্য সক্ষমতা বাড়াতে ডিসিসিআই সভাপতি একটি পৃথক ‘কমার্শিয়াল কোর্ট’ গঠনের প্রস্তাব করেন, যার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে বাণিজ্য বিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি তিনি আরবিট্রেশন অ্যাক্ট, ২০০১ এর প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব করেন।

>> আরও পড়ুন: দেশের রিজার্ভ এখন ৩২ বিলিয়নের ঘরে

পরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী ৩ বছর পণ্য রফতানিতে শুল্ক সুবিধা পাওয়া গেলে আমাদের রফতানি সম্প্রসারণে সম্ভাবনাময় দেশ ও আঞ্চলিক ব্লকগুলোর সঙ্গে এফটিএ, পিটিএ ও সেপাসহ অন্যান্য চুক্তি স্বাক্ষরের ওপর আরও বেশি হারে মনোনিবেশ করতে হবে। বর্তমান সরকার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করছে।

এ সময় বিভিন্ন বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে ‘ইন্টারন্যাশনাল সাপোর্ট মেজার্স (আইএসএমএস)’ বিষয়ক সুবিধা আদায়ের জন্য দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন মন্ত্রী। পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ সম্প্রসারণে ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে বলেন, দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রয়োজনীয় নীতিমালা সংস্কারের ক্ষেত্রে সরকার বদ্ধপরিকর।

>> আরও পড়ুন: কৃষি উৎপাদনকে বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি ও খাদ্যপণ্য উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি এবং আমাদের কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। যেখানে স্পেনসহ বেশ কয়েকটি দেশ বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং আশা করা যাচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে এই খাতে আমরা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সক্ষম হবো। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, ১ ইঞ্চি জমিও অনাবাদী না রেখে কৃষিকাজের আওতায় নিয়ে আসার ওপর অধিক হারে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।

এ সময় সমুদ্র অর্থনীতির সম্ভাবনা এখনো কাজে লাগানো যায়নি উল্লেখ করে এর ওপর আরও বেশি হারে জোর দেওয়ার কথা বলেন মন্ত্রী।

ডব্লিউএইচ/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর