মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪, ঢাকা

রুপিতে বাণিজ্যপ্রস্তাব ভারতের, ভেবে দেখবে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:৩৪ পিএম

শেয়ার করুন:

রুপিতে বাণিজ্যপ্রস্তাব ভারতের, ভেবে দেখবে বাংলাদেশ
ফাইল ছবি

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশকে ডলারের বদলে রুপি ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি। তবে এই প্রস্তাবে এখনই নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাতে চায় না বাংলাদেশ। বিষয়টি আরও ভালোভাবে খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।


বিজ্ঞাপন


এর আগে দুই দিনব্যাপী (২২-২৩ ডিসেম্বর) ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এছাড়া ভারতের পক্ষে ছিলেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছাড়াও পারস্পরিক নানা বিষয়ে সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

মন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি (মুদ্রার বিষয়ে) আলোচনা হতে পারে। তারা রাশিয়া এবং ইরানের সঙ্গে এটি (রুপি ব্যবহার) শুরু করেছে। এটা পারব কি-না সেটা হিসাবের (ভেবেচিন্তে দেখার) ব্যাপারও আছে। এছাড়াও সীমান্তহাট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে সব বিষয়ে আলোচনা নিয়েই আমরা সন্তুষ্ট।

টিপু মুনশি বলেন, পণ্য আমদানিতে যে কোটার কথা বলেছি সেখানে পরিমাণ উল্লেখ করেছিলাম। তারা (ভারত) বলেছে পরিমাণ তো আমরা (বাংলাদেশ) আন্দাজ করে বলেছি, সে ক্ষেত্রে সঠিক কত পরিমাণ পণ্য প্রয়োজন হবে সেটি নির্ধারণ করতে বলেছে। আমরা একটু বেশি করেই চেয়েছিলাম। তারা বলেছে- অতীতের ৭-৮ বছরের রেকর্ড বলে না তোমাদের (বাংলাদেশ) এত দরকার। বাংলাদেশের জন্য রাখার পর যদি না নেয়, তাহলে সেগুলো নষ্ট হবে। সে জন্য দুই পক্ষ আলোচনা করে ঠিক করতে বলেছে।


বিজ্ঞাপন


Tradeব্যবসায়ীদের দীর্ঘমেয়াদি ভিসা দিতে ভারতের আপত্তি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা (ভারত) বলেছে এক থেকে দেড়মাস একটু অপেক্ষা করতে হবে। করোনার পর মেডিকেল ভিসার জন্য প্রচুর চাপ পড়েছে। সেটা দিতেই তাদের সমস্যা হচ্ছে। তারা বলছে- জানুয়ারির শেষদিকে তাদের (ভিসার) চাপ কমে আসবে। তখন রেগুলার ভিসা, ট্যুরিস্ট ভিসা, মাল্টিপল ভিসা, ব্যবসায়ীদের ভিসার ব্যবস্থা করবে ভারত।

মন্ত্রী জানান, কোভিড-১৯ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য খাদ্য সংকটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও ডালের মতো নিত্যপ্রয়োজনী খাদ্যপণ্যের প্রধান সরবরাহকারী দেশ ভারতের কাছে এসব পণ্য আমদানিতে বার্ষিক কোটা সুবিধা দিতে অনুরোধ জানিয়েছি। যাতে আমাদের সমস্যা না হয়।

পেঁয়াজ ও গম বন্ধ করায় মাঝে সমস্যা হয়েছিল উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তারা (ভারত) বলছে- আমরা যা চেয়েছি তা তারা দিতে পারবে। কিন্তু আমরা যদি সেটা না নেই তাহলে কী হবে? সে জন্য বলেছে- সবাই বসে যা প্রয়োজনীয় তা তারা দেবে। তারা (ভারত) যেন আমাদের পণ্যগুলো হঠাৎ করে বন্ধ করে না দেয় (সে বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে)। আরেকটি কথা বলেছি- পেঁয়াজ নিয়ে সমস্যা হয়েছিল, সে ক্ষেত্রে আমাদের যাতে (রফতানি বন্ধ করা আগে) এক মাস সময় দেওয়া হয়। আমাদের আগে থেকে সতর্ক করার জন্য বলেছি। তাছাড়া বাংলাদেশের অন্যতম রফতানি পণ্য পাটজাত সামগ্রীর ওপর ২০১৭ সাল থেকে আরোপিত অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটি আর বহাল না রাখার জন্য ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর