মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ইফডিতে ভ্যাট বাড়ছে, নভেম্বরে এসেছে ৩২ কোটি ২৯ লাখ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০২:০৯ পিএম

শেয়ার করুন:

ইফডিতে ভ্যাট বাড়ছে, নভেম্বরে এসেছে ৩২ কোটি ২৯ লাখ

ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) চালানের মাধ্যমে অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বর মাসে দুই কোটি টাকার বেশি ভ্যাট এসেছে। নভেম্বরে ইএফডিতে ভ্যাট এসেছে ৩২ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর পাশাপাশি মনিটরিং জোরদার করা গেলে ইএফডিতে ভ্যাটের পরিমাণ বাড়ানো যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


বিজ্ঞাপন


সোমবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভবনে ২৩তম ইএফডি লটারি ড্র উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

দেশের পাঁচটি কমিশনারেটের (ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম ও চট্টগ্রাম) স্থাপন করা ইএফডি ও এসডিসির মাধ্যমে ৩১ লাখ ৭১ হাজার চালানের বিপরীতে এ পরিমাণ ভ্যাট আদায় করা হয়।

গত অক্টোবরে ইএফডির মাধ্যমে ভ্যাট এসেছিল ৩০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সেই তুলনায় নভেম্বরে ইএফডিতে ভ্যাট দুই কোটি বেশি এসেছে।

এনবিআর সদস্য (মূসক মূল্যায়ন ও বাস্তবায়ন) মইনুল খান জানান, নভেম্বর মাসে ইএফডির মাধ্যমে ভ্যাট এসেছে ৩২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ৩১ লাখ ৭১ হাজার চালানের মাধ্যমে এই ভ্যাট আদায় হয়। অক্টোবর মাসে ৩১ লাখ ৮৯ হাজার চালানের বিপরীতে ৩০ কোটি ৪০লাখ টাকার ভ্যাট আদায় হয়। সেই হিসেবে গত মাসের তুলনায় ইএফডির রাজস্ব বেড়েছে মাত্র ৬ শতাংশ।


বিজ্ঞাপন


এর আগের সেপ্টেম্বর মাসে ইএফডির মাধ্যমে ভ্যাট আসে ২৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আর আগস্টে ইএফডির মাধ্যমে ভ্যাট এসেছিল ৩৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

ইএফডি মেশিনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে জানিয়ে মইনুল খান জানান, এ নিয়ে ব্যাপকহারে প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে। গত মাসের তুলনায় ইনভয়েসিং ও রাজস্ব আদায় কিঞ্চিত বাড়লেও তা সন্তোষজনক নয়। এ বিষয়ে কমিশনারেটদের আরও মনোযোগী হতে হবে। মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে।

এনবিআরের এই সদস্য আরও বলেন, ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) যদি প্রতিটি জেলায় স্থাপন করতে পারি, তাহলে প্রতিটি শপিংমল ও দোকানের সেল সম্পর্কে জানা যাবে। ২ বছরেরও বেশি সময়ে পাঁচটি কমিশনারেট মোট ৮ হাজার ৩৯৯টি ইএফডি ও এসডিসি স্থাপন করতে পেরেছে। তাদের পারফরম্যান্সে আমরা সন্তুষ্ট নই।

মইনুল খান বলেন, দেশের অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান আছে এখনও তারা ভ্যাট আওতার বাইরে। তাদের এই ভ্যাট আওতায় আনতে হবে।

ইএফডির কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানোর কথা জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, আগামী পাঁচ বছরে তিন লাখ ইএফডি মেশিন বসাবে জেনেক্স ইনফোসিস। প্রথম বছরে তারা এক লাখ ইএফডি মেশিন বসাবে। যখন তিন লাখ মেশিন বসানো হবে, তখন দীর্ঘমেয়াদে আরও সফলতা আসবে। তখন এ খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। এজন্য সচেতনতা আরও বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।

মইনুল খান বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ শুরু হবে। এ সময়ে আমরা ভ্যাটযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভ্যাটের আওতায় নিয়ে আসব। আনতে পারলে রাজস্ব আরও বাড়বে। এজন্য এই খাতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া জোরদার করতে যাচ্ছি। পাশাপাশি আওতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।  

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, এনবিআর সদস্য (ভ্যাট নিরীক্ষা) ড. সহিদুল ইসলামসহ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

বিইউ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর