শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে প্রায় ২০০ ব্রিটিশ কোম্পানি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে প্রায় ২০০ ব্রিটিশ কোম্পানি’

বাংলাদেশের ব্যাংকিং, টেক্সটাইল, কেমিক্যাল, ওষুধ ও জ্বালানিসহ প্রভৃতি খাতে প্রায় ২০০ ব্রিটিশ কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। তিনি বলেছেন, গত অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে বাংলাদেশ প্রায় ৩ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য যুক্তরাজ্যের বাজারে রফতানি করেছে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সফররত ৭ সদস্য বিশিষ্ট চেম্বারর্স ওয়েলসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ডিসিসিআই’র বাংলাদেশ-ইউকে বিজনেস নেটওয়ার্কিং মিটিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। 


বিজ্ঞাপন


যুক্তরাজ্যের বাজার বাংলাদেশের জন্য তৃত্বীয় বৃহত্তম রফতানির গন্তব্যস্থল উল্লেখ করে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমাদের মোট রফতানির প্রায় ৮০ শতাংশ তৈরি পোষাক খাতের ওপর নির্ভরশীল হলেও হিমায়িত খাদ্য, তথ্য-প্রযুক্তি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, বাইসাইকেল এবং পাট পণ্য ব্রিটেনে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, ব্রেক্সিট এবং এলডিসি হতে বাংলাদেশের উত্তোরণ পরবর্তী সময়ে দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অধিকতর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং কম্প্রিহেনসিভ ইকোনোমিক পার্টনারশীপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে মতপ্রকাশ করেন তিনি। 

বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে এখাতে বিনিয়োগের পাশাপাশি তথ্য-প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন খাতেও বিনিয়োগের জন্য ওয়েলসের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা চেম্বারের সভাপতি।

চেম্বার্স ওয়েলসের নির্বাহী চেয়ারম্যান পল স্লেভিন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে অনুসরণীয় উন্নতি সাধন করেছে, বিশেষ করে অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। 


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির এই পরিবর্তনে দেশটির বেসরকারিখাতের ভূমিকা অত্যন্ত বেশি এবং ওয়েলসের বেসরকারিখাত বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে পার্টনারশীপ সম্প্রসারণে অত্যন্ত আগ্রহী। 

তিনি আরও বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি খাত ও মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে ব্রিটেনের সুদীর্ঘকালের অভিজ্ঞতা রয়েছে, যা বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে দক্ষ মানব সম্পদের পরিণত করার পাশাপাশি বর্তমান সময়ে তথ্য-প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজে লাগতে পারে।    

বৈঠকে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি আরমান হক, মনোয়ার হোসেনসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

টিএই/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর