বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

লাইসেন্স ছাড়া ধান-চাল মজুত করলে ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২২, ০২:৫০ পিএম

শেয়ার করুন:

লাইসেন্স ছাড়া ধান-চাল মজুত করলে ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী

লাইসেন্স ছাড়া ধান-চাল কিনে কেউ মজুত করে রাখলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, লাইসেন্স না থাকার পর অনেকে ধান-চাল কিনে মজুত করছেন। এতে বাজারে ধান-চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়। বিনা লাইসেন্সে কোনো ব্যক্তি ধান-চালের ব্যবসা করতে পারবে না। লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে আইনানুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সারাদেশে আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি নওগাঁ, কুষ্টিয়া, নেত্রকোণা ও দিনাজপুর জেলার সরকারি কর্মকর্তা, কৃষক, চালকল মালিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।


বিজ্ঞাপন


সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, গত বোরো মৌসুম থেকে ধান-চাল ব্যবসায়ীদের প্রতি সপ্তাহের রিটার্ন দাখিল করার নিয়ম চালু করা হয়েছে। অর্থাৎ যারা ধানের আড়তের ব্যবসা করছেন তাঁদের প্রতি সপ্তাহে কতটুকু ধান কিনছেন, কতটুকু ধান কোন মিলে বিক্রি করছেন তার হিসাব সরকারকে দিতে হবে। চালকল মালিকদেরও এই নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়েছে। যারা হিসাব দেবে না তাদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।

minister-2‘এবার ব্যবসায়ীদের প্রতি সপ্তাহের রিটার্ন দাখিলের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। এছাড়া যেসব মিলার কর্পোরেট গ্রুপের কোনো ব্রান্ডের নামে চাল বাজারজাত করার চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’-বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

খাদ্য নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাধন চন্দ্র বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্য সংকট হতে পারে বলে আভাস দেওয়া হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে খাদ্যশস্য আমদানি করা হচ্ছে। তবে কৃষকদেরও এই পরিস্থিতিতে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। নিজেদের যেসব জমি আছে তার সবটুকুতেই ফসল আবাদ করলে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে খাদ্য আমদানি করতে হবে না।

কৃষকদের সরকারি গুদামে ধান বিক্রয়ের আহ্বান জানিয়ে নওগাঁ-১ আসন থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য বলেন, সরকার কৃষকদের চাষাবাদে উৎসাহিত করতে সার ও বিদ্যুতে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষকদের দায়িত্ব রয়েছে তাদের উৎপাদিত ধানের কিছু কিছু সরকারি গুদামে দেওয়া। ২০১৮-১০১৯ সালে ধানের দাম বাজারে অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যায়। তখন কৃষকেরা হা-হুতাশ করতে শুরু করেন। এ পরিস্থিতিতে সরকার কৃষকদের ধানের নায্যদাম নিশ্চিত করতে মৌসুমের শুরুতেই ধান-চাল কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন বলেই কৃষকরা ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। কৃষক লাভবান হচ্ছেন।


বিজ্ঞাপন


minister-3খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য মন্ত্রী বলেন, সরকারি গুদামে ধান বিক্রির সময় কোন কৃষক বা মিলাররা যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হন এবং মধ্যস্বত্বভোগীরা গুদামে ধান দিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও ধান-চাল সংগ্রহের সময় খাদ্যর অপচয় বা নষ্ট না করে ভালোভাবে সংরক্ষণের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনলাইনে যুক্ত হয়ে নওগাঁয় চলতি বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন ও সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। নওগাঁর পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারীসহ সরকারি কর্মকর্তা, কৃষক, চালকল মালিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিনিধি/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর